• সন্ধ্যা ৭:২৭ মিনিট শুক্রবার
  • ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁয়ে সার্বজনীন পেনশন মেলা ও স্পট রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্ধোধন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বউয়ের মামলা সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, ৪ জন বাতিল সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ সানাউল্লাহকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যা চেষ্টা ও ১৫ মামলার আসামী গ্রেপ্তার বন্দরে ইউএনও অফিসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যের আত্মহত্যা সোনারগাঁয়ে ২দিন ধরে মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ সোনারগাঁয়ে দুই ব্যাক্তি আটক, ৪৯ লাখ জাল টাকা উদ্ধার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আজিজুল ইসলাম মুকুল সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল তাপদাহের প্রভাব পড়েছে সোনারগাঁয়ের বাজার ও মার্কেটগুলোতে মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী প্রচারনায় নেতাকর্মীর ঢল সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ সোনারগাঁ থেকে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হলেন পিতা-পুত্র তীব্র গরমের কারনে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা খুলবে ২৮ এপ্রিল! অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মাহফুজুর রহমান কালাম সোনারগাঁয়ে প্রাথমিকে অনলাইন বদলী আবেদনে অনিয়মের অভিযোগ জামপুরে ৪টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মী নিয়ে বাবুল ওমরের নির্বাচনী প্রচারনা সভা সোনারগাঁয়ে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী বেচা-কেনার হিড়িক সোনারগাঁয়ে নেতাকর্মী বেচা-কেনার হিড়িক
অবশেষে ভেঙ্গে ফেলা হল পানাম নগরীর স্মৃতি বিজরিত দিদিমনির পাঠশালা

অবশেষে ভেঙ্গে ফেলা হল পানাম নগরীর স্মৃতি বিজরিত দিদিমনির পাঠশালা

Logo


নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহাসিক পানাম নগরীর অভ্যন্তরে দিদিমনির স্মৃতি বিজরিত টিনের তৈরী প্রায় শতবর্ষ পুরনো সেই পাঠশালাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। সম্প্রতি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পানাম নগর মন্দির কমিটি এটি ভেঙ্গে ফেলেছে বলে জানান স্থানীয় প্রশাসন।

জানাগেছে, দিদিমনির পাঠশালাটি অত্র অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে যথেষ্ট প্রভাব রেখেছে বলে জানা যায়। পানাম নগর এলাকার ষাটোর্ধ্ব অনেকেই ছেলেবেলায় এই ঘরটিতে বসেই দিদিমনির কাছে হাতেখড়ি নিয়েছেন। পানাম অঞ্চলের স্থায়ী বাসিন্দা গৌর চন্দ্র পোদ্দারের তিন কন্যার মধ্যে কনিষ্ঠ কন্যা হেমাঙ্গিনী পোদ্দার। হেমাঙ্গিনী পোদ্দার ১৯১৫ সালে পানাম নগরেই জন্মগ্রহণ করেন। একই এলাকার এক সম্রান্ত হিন্দু পরিবারে মাত্র দশ বছর বয়সে হেমাঙ্গিনীর বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছরের মধ্যেই তার স্বামী মারা যায়। শুরু হয় তার বৈধব্য জীবন। কিশোরী বিধবা হেমাঙ্গিনী নিঃসঙ্গতা কাটানোর জন্য স্থির করলেন এলাকায় ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের প্রাথমিক শিক্ষা দেয়ার চেষ্টা করবেন। তার সিদ্ধান্তের কথা বাবা গৌড় চন্দ্র পোদ্দারকে জানালেন। বাবার সহযোগিতা ও অনুপ্রেরণায় পানাম নগরে দুর্গা মন্দির সংলগ্ন ছোট একটি টিনের ঘরে হেমাঙ্গিনী ১৯৩০ সালে বৃটিশ শাসনামলে পাঠশালায় প্রথম শিক্ষাদান শুরু করেন।

একসময় ছোট ছেলে মেয়েদের কাছে তিনি দিদি মনি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। দিদি মনির আড়ালে হারিয়ে যায় হেমাঙ্গিনী নামটি। অবশেষে এলাকার সকলের কাছেই তিনি হয়ে ওঠেন দিদিমনি। পাশাপাশি টিনের ঘরটির নাম হয়ে যায় দিদিমনির পাঠশালা। ১৯৬৪ সালে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কারণে দিদিমনির পাঠশালার কার্যক্রম ধীরে ধীরে বন্ধ হয়ে যায়।

এদিকে তার পৈত্রিক বাড়ি ও শ্বশুর বাড়ি সম্পত্তি বেদখল হয়ে যায়। একপর্যায়ে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। জীবনের শেষ প্রান্তে তিনি শিবার বিল্ডিং নামে পরিচিত পুরাতন জাদুঘরের দোতলায় নিঃসঙ্গ অবস্থায় বসবাস করতেন। ১৯৭২ কিংবা ১৯৭৩ সালের দিকে তিনি কলকাতায় স্বজনদের কাছে চলে যান। শোনা যায়, তিনি কলকাতায় এক আত্মীয়ের বাসায় রোগে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন।

স্থানীয় সুশিল সমাজ দিদি মনির পাঠশালাটিকে সংরক্ষনের দাবি জানালেও সম্প্রতিক সময়ে দেখা যায় পাঠশালাটি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁও সাহিত্য নিকেতনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রবিউল হুসাইন জানান, দিদিমনির পাঠশালাটি সর্ব প্রথম সাময়িকি চারদিকে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের মাধ্যমে সবার দৃষ্টি গোচর হয়। যেহেতু এ পাঠশালাটি প্রায় শত বর্ষের পুরোনো এবং এর একটি সমৃদ্ধ ইতিহাস রয়েছে তাই এটিকে সংরক্ষনের মাধ্যমে বর্তমান প্রজম্মের কাছে তুলে ধরা উচিত। দিদি মনি’র ইতিহাস জেনে হয়তো বর্তমান প্রজম্মের অনেক নারী অনুপ্রানিত হয়ে শিক্ষা বিস্তারে কাজ করতে এগিয়ে আসবে।

এ ব্যাপারে পুরার্কীতি রক্ষানাবেক্ষনের দায়িত্বে থাকা প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের ভান্ডার রক্ষক জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, পুরোনো ঘরটি ভাঙ্গার ব্যাপারে আমরা বিস্তারিত কিছুই জানিনা। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এটি ভাঙ্গা হয়েছে।

সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) নাজমুল হুসাইন জানান, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর নির্দেশক্রমে এ জরার্জীন এ ঘরটি ভেঙ্গে ফেলার জন্য পানাম নগরী দূর্গা মন্দির কমিটিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। তারা ঘরটি সরিয়ে নিয়েছে। তবে তিনি এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানার জন্য পানাম নগরীর দূর্গা কমিটির সভাপতির সাথে কথা বলার জন্য অনুরোধ করেন।

এ ব্যাপারে পানাম নগরীর দূর্গা মন্দির কমিটির সভাপতি অসিত কুমার দাস জানান, ঘরটি খুবই জরার্জীন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। স্থানীয় প্রশাসন ঘরটিকে সরিয়ে নিতে আমাকে অনুরোধ করেছে তাই আমি ঘরটি মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে সরিয়ে নিয়েছি। তিনি আরো জানান, খুব শীঘ্রই ঘরটিকে পূর্বের জায়গায় আবারো নতুন করে নির্মান করে দেয়া হবে।


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution