নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সভাপতি এম জামান বলেছেন আমি এখন রাজনীতিতে নাই। সামনে উপজেলা নির্বাচনে অনেকেই বলছেন তাদের নির্বাচন করতাম।
সোনারগাঁ বিএনপি বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী জাতীয়পার্টিতে যোগদান করেছেন এমন খবরের বিষয়ে এম জামানের সাথে যোগাযোগ করা হলে এ কথা বলেন।
তবে, জাতীয়পার্টির এমপির সঙ্গে ১২ মার্চ মঙ্গলবার আপনাদের সভা হওয়ান গুজ্জন ছড়িয়ে পড়ছে এ বিষয়ে তিনি বলেন, আগামীকাল সভার বিষয়টি শিওর না ।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ওই নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসনে ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকে মনোনয়ন পান আজহারুল ইসলাম মান্নান। নির্বাচনে প্রাথমিক মনোনয়নের তালিকাতেও আসেননি এ আসনের সাবেক এমপি রেজাউল করিমের নাম। যে কারনে ওই নির্বাচনে রেজাউল অনুগামী বিএনপির নেতাকর্মীরা কাজ করেছিলেন মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে লিয়াকত হোসেন খোকা। নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে কাজ করেছিলেন রেজাউল পন্থী বিএনপির নেতাকর্মীরা। যার প্রমান মিলতে যাচ্ছে আগামী মঙ্গলবার।
জানাগেছে, আগামী মঙ্গলবার রেজাউল করিম অনুগামী বিএনপির পদধারী ও এক সময়কার দাপটশালী বিএনপির কয়েকশ নেতাকর্মী আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করবেন। এদের মধ্যে বেশির ভাগই দলের বড় বড় পদ বহন করছেন। অনেকেই বিএনপির শীর্ষ পদে থাকলেও আগে থেকেই সরকারি দলের সঙ্গে লিয়োজো করে রাজনীতি করে আসছিলেন। ওই নির্বাচনের আগেই আজহারুল ইসলাম মান্নানের লোকজন অভিযোগ করেছিলেন রেজাউল করিমের লোকজন লাঙ্গল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছেন। যেখানে ইতিমধ্যে ছাত্রদল নেতা ওমর ফারুক টিটু জাতীয়পার্টিতে যোগদান করেছেন। এই টিটু হলেন সোনারগাঁ পৌর বিএনপির সহ-সভাপতি সালাউদ্দীনের ছেলে। তারা বিএনপির আন্দোলনে নাশকতার মামলায় আসামী হয়েছেন এবং জেল খেটেছেন।
জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোয়ন চেয়েছিলেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী রেজাউল করিম। কিন্তু এ আসন থেকে মনোনয়ন পান আজহারুল ইসলাম মান্নান। যদিও নির্বাচনে মান্নানের ভরাডুবি হয়েছিল। আর নির্বাচনের পর রেজাউল করিম পন্থী নেতাকর্মীরা অনেকে যোগ দিতে যাচ্ছে জাতীয় পার্টিতে। ওই নির্বাচনে দলের প্রাথমিক মনোনয়ন পান উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু জাফর ও সেক্রেটারি আজহারুল ইসলাম মান্নান। কিন্তু খন্দকার আবু জাফর তার মনোনয়ন পত্রই দাখিল করেননি।
নেতাকর্মীরা বলছেন, উপজেলা বিএনপির রাজনীতির নিয়ন্ত্রন আজহারুল ইসলাম মান্নানের কাছে চলে যাওয়ায় এবং রেজাউল করিমের বয়সের কারনে রাজনীতি শেষের দিকে চলে যাওয়ায় রেজাউল অনুগামী নেতাকর্মীরা পিঠ বাঁচাতে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করতে যাচ্ছেন।
যোগদানের বিষয়টি তিনি অস্বীকার করে বলেন, আগামীকালের এমপি সাহেবের সাথে বসার বিষয়টি বলেন শিওর না।