নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁও জি আর ইনিষ্টিটিউশনের মুল ফটকের নামফলক ভাঙ্গার প্রতিবাদে সোনারগাঁও জি আর ইনষ্টিউটিউশনের সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধনে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য মাহফুজুর রহমান কালাম বলেন, সোনারগাঁয়ের সংসদ লিয়াকত হোসেন খোকার স্ত্রী সোনারগাঁও পাইলট বালিকা বিদ্যালয়ের সভাপতি সেই স্কুলে শতভাগ বেতন নিয়ে তিনি সোনারগাঁও জি আর ইনিষ্টিটিউশের শিক্ষার্থীদের মাইকে ডেকে এনে বেতন মওকুফ করে দিবেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন। আমি পৌরবাসীর উদ্দ্যেশে বলতে চাই লিয়াকত হোসেন খোকা এখানে বেতন মওকুফ করতে আসেনি। তিনি এসেছেন তার স্ত্রী কে পৌরসভার মেয়র বানাতে। যেখানে সরকার প্রজ্ঞাপন জারী করে শুধু বেতন নিতে পারবে অন্য কিছু না। আর নাম ফলক ভেঙ্গে তিনি গুডামী দেখাতে এসেছেন। এসময় তিনি লিয়াকত হোসেন খোকাকে হুসিয়ারী দিয়ে বলেন, আমাদের সাথে গুন্ডামী করতে আসবে না। গুন্ডামী করে সকাল বেলা ভোট মেরে মেয়র নিয়ে যাবেন। আরে ভাই সোনারগাঁয়ে রাজনৈতিক গুন্ডা হলাম আমরা। আমাদের সামনে গুন্ডামী করতে আসবেন না। অনেক ধৈয্য ধরেছি আর না। আপনি আওয়ামীলীগ ও শেখ হাসিনার দয়ায় এমপি হয়েছেন। আর এখন বিএনপির জামায়াতের ১০ মামলার আসামী নিয়ে জাতীয়পার্টি গঠন করেছেন। এসময় তিনি তার স্ত্রী পোষ্টারে ছবি প্রসঙ্গে বলেন, তিনি তার স্ত্রীর সমর্থনে পোষ্টারে ৫ নেতার ছবি দিয়ে পোষ্টার করেছেন। এখন দেখলাম সেই সেই পোষ্টারে ২জন নেতার ছবি রয়েছে। আর কয়দিন পর দেখবেন কারো নাম নেই। তাই ভাল হয়ে যান। আওয়ামীলীগ ক্ষেপে গেলে সোনারগাঁয়ে আসতে পারবেন না।
মানববন্ধনে জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহ্ফুজুর রহমান কালাম, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া, সিঃ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, রোমান, আলাউদ্দিন, ফারুক হোসেন ভূঁইয়া, এড.নুরজাহান, মহানগর আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফত, উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মজিবুর, জেলা আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের আহবায়ক এড.এটি ফজলে রাব্বী, কেন্দ্রীয় কমিটির যুব মহিলা লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নাসরিন সুলতানা ঝরা প্রমুখ।