নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ

বৈদ্যেরবাজার মাছ ঘাট, দোকানপাট, মেঘনা নদীতে চলাচলরত খেয়াঘাটের নৌযান, বালুবাহি বাল্ক হেড ও পন্যবাহি জাহাজে চাঁদাবাজির বন্ধ ও খেয়াঘাটের হাজারা বাতিলের দাবিতে সোনারগাঁ প্রেস ক্লাবের সামনে বৃহস্পতিবার বিকালে মানববন্ধন করেছে মেঘনা নদীতে চলাচলরত কার্গো ও জাহাজের শ্রমিক ও বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন বাসি। এর আগে সকালে খেয়াঘাট বাতিলের দাবিতে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারক লিপি প্রদান করে তারা।

এলাকাবাসী ও খেয়াঘাটের শ্রমিকরা মানববন্ধনে জানান, উপজেলা কান্দারগাঁও গ্রামের চিহিৃত নৌ চাঁদাবাজ ও পিরোজপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি  জাকির হোসেন ওরফে পলিথিন জাকির নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে বৈদ্যেরবাজার খেয়াঘাট জেলা পরিষদ কর্তৃক অনুষ্ঠানিক ভাবে বুঝাইয়া দেওয়ার আগেই জাকিরের লোকজন বৈদ্যেরবাজার মাছঘাট, তরকারীর দোকান, ট্রাক ও সিএনজি ষ্ট্যান্ড, দোকানপাট ও মেঘনা নদীতে চলাচলরত বাল্কহেড, জাহাজ ও অন্যান্য নৌযান থেকে জোড়পূর্বক চাঁদা আদায় করছে। চাঁদাদিতে অস্বীকার করলে তার লোকজন নৌ শ্রমিক ও দোকানদারদের মারধর করছে। এ নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা ও নৌ-শ্রমিকদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এর আগে এ চাঁদা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে সাধন, গোলজার ও মোহাম্মদ আলীসহ ৫/৬ জনের মতো যুবককে হত্যা করা হয়েছে। ভবিষ্যতেও হত্যার মতো আরো ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তাই জনস্বার্থে বৈদ্যেরবাজার খেয়াঘাট বাতিলসহ সকল চাঁদা উত্তোলন বন্ধ করতে হবে।

তারা আরো জানান, বৈদ্যেরবাজার খেয়াঘাটটি ৩০ বছর ধরে সাতভাইয়াপাড়া মসজিদের নামে টাকা উত্তোলন করে মসজিদের উন্নয়নকল্পে ব্যয় করা হয়। সম্প্রতি চাঁদাবাজ জাকির ৫ লাখ টাকায় খেয়াঘাটটি ইজারা এনে বৈদ্যেরবাজার মাছঘাটসহ বিভিন্ন দোকানে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। তার টার্গেট বৈদ্যেরবাজার খেয়াঘাটকে ইস্যু করে মেঘনা নদীতে চাঁদাবাজি করা। আর তার চাঁদাবাজি ইতিমধ্যে শুরু করেছে। গত কয়েকদিন আগে জাকিরের সহযোগী শামীম মেঘনা নদীতে চাঁদা তুলতে গেলে জাহাজের মাষ্টার চাঁদা দিতে অস্বীকার করার মাষ্টার ও শ্রমিককে পিটিয়ে আহত করে নগদ টাকা ও মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।

বৈদ্যেরবাজার খেয়াঘাট বন্ধে বৃহস্পতিবার সকালে বৈদ্যেরবাজার এলাকার হাজী মোঃ মজিবর রহমান, আবুল আউয়াল, অহিদুল্লাহ সরকার, মোঃ এসএম হিরু, খবিরউদ্দিন ও গোলজার হোসেনসহ কয়েকজন গন্যমান্য লোক সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে একটি স্মারক লিপি প্রদান করে।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জাকিরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহীনুর ইসলাম জানান, খেয়াঘাট ইজারা বন্ধে এলাকাবাসীর একটি স্মারকলিপি পেয়েছি। নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধে নৌপুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।