নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁয়ে অবস্থিত রয়েল রিসোর্টে হেফাজত নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যাপক ভাংচুর করে প্রায় ২ কোটি টাকার মালামাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী রিসোর্ট মালিক কর্তৃপক্ষের।
শনিবার বিকেল সাড়ে ৫ টা থেকে রাত ৮ টা পযন্ত হেফাজত কর্মীরা রিসোর্টে হামলা চালিয়ে মামুনুল হক ও তার কথিত স্ত্রীকে ছিনিয়ে নেন। পরে রাত ৯টায় হেফাজত কর্মীরা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতির বাড়িতে ব্যাপক ভাংচুর করেন। এ ঘটনায় সোনারগাঁয়ের ৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনসহ বিভিন্ন স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পযন্তু থানায় মামলার প্রস্তুতি চলচ্ছে।
এদিকে রবিবার দুপুরে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক ও তার স্ত্রীকে রয়েল রিসোর্টে অবরুদ্ধ করে হামলা ও লাঞ্চিত করার ঘটনায় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু ও নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি শাহ মোঃ সোহাগ রনির নাম উল্লেখ্য করে আরও অজ্ঞাত কয়েক জনকে অভিযুক্ত করে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন হেফাজত নেতা ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী নামের এক ব্যক্তি। পরে হেফাজত কর্মীদের নিয়ে বিচারের দাবীতে থানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন।
রয়েল রিসোর্টের এ জি এম কবির
নিউজ সোনারগাঁ ‘কে বলেন, আমাদের রিসোর্টে বিভিন্ন দেশের ৩৪ ফরেনার রয়েছে। তাদের পুলিশ ব্যাপক নিরাপত্তায় দিয়েছেন। তাদের কোন প্রকার সমস্যা হয় নেই। শনিবারের হেফাজতের ব্যাপক ভাংচুরের প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এখন মামলার বিষয়ে সিদান্ত নেইনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আতিকুল ইসলাম বলেন, হেফাজতের হামলা, ভাংচুর ও বিক্ষোব নিয়ন্ত্রণ রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ( বিজিবি) সদস্যদেও মোতায়েন করা হয়েছে। তারা উপজেলার বিভিন্ন স্থানে টহল দিচ্ছে।
উল্লেখ্যঃ হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হককে এক নারীসহ শনিবার বিকেলে রয়েল রিসোর্টে আটক করার ঘটনায় হেফাজত কর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও লাঠিসোটা দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় ব্যাপক ভাংচুর করে।