নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলায় এক করোনা যোদ্ধা সানাউল্লাহ (৪০) কে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী করোনা যোদ্ধা সঠিক বিচার চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

করোনা যোদ্ধা সানাউল্লাহ ব্যাপারী জানান,  গত ৪ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি ছেলে আবু তালেব তার এক আত্মীয়ের জমিতে বালু ভরাটের কাজ নেয়। কিন্তু আবু তালেব জমির মালিককে সামনে না রেখে নিজ ইচ্ছে মতো বালু ভরাট করছিল। এক পর্যায়ে আবু তালেব ১০ হাজার বালু ফেলে জমির মালিককে ১৬ হাজার বালু ফেলেছে বলে জানায় এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্ক হয়। অবশেষে জমির মালিক জানায় বালু ফেলার সময় তাকে যেন বালুর বোট মেপে বালু ফেলার জন্য। এ ঘটনায় গত ৪ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আবু তালেব সানাউল্লাহসহ তার আত্মীয়কে ফোন দিয়ে বলে বোট এসেছে আপনারা আসেন তখন সানাউল্লাহসহ তার আত্মীয় সেখানে গেলে আবু তালোব জানায় এটাতে ২২ হাজার ফুট বোট বালু আছে এটা ফেলবো তখন তারা বলে এই বোট তো ১৬ হাজারের এবং আমাদের পরিচিত বোট। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবির্তকের এক পপর্যায়ে সানাউল্লাহসহ তার আত্মীয়কে অস্ত্রের মাধ্যমে জিম্মি করে আবু তালেব তার দুই ভাইসহ ৫/৬ জনের একটি দল তাদের পিটিয়ে আহত করে বলে তোরা ডাকাত তোরা ড্রেজারে ডাকাতি করতে এসেছস তোদের গলা ককেটে হত্যা করে নদীতে ফেলে দিবো। এ পর্যায়ে অভিযুক্ত আবু তালেব তাদের মারধরের ভিডিও ধারণ করে তাদের মুখ থেকে ডাকাতি করতে এসেছে এ রকম একটি  স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি নেয়ার চেষ্টা করে। এদিকে সানাউল্লাহদের মারধর করার খবর তাদের বাড়িতে পৌচ্ছে গেলে তার স্বজনরা ৯৯৯ এ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার খবর পেয়ে অভিযুক্তরা সরে পড়ে। পরে আহত সসানাউল্লাহকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় সানাউল্লাহ বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে।

সানাউল্লাহ আরো জানায়, সে একজন করোনাযোদ্ধা। করোনাকালীন সময়ে এ সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার নির্দেশে একটি করোনাযোদ্ধা নামে সংগঠন তৈরী করে সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ৫৬জন করোনায় আক্রান্ত মৃত ব্যক্তিকে দাফন করেছেন। এমনকি সে সময় জীবন বাজি রেখে কনোনায় আক্রান্ত রোগীদের খাবার ও ঔষধসহ অন্যান্য জিনিসপত্র বাড়ি বাড়ি গিয়ে সরবরাহ করেছেন। সে জীবনে কোন ডাকাতি তো দুরের কথা কোন অপরাধের সাথে জড়িত নয়। বিএনপি নেতা আবু তালেব পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে তাকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করেছে এবং তার একটি ভিডিও করে তার জোড় পূর্বক স্বীকারোক্তি নেয়ার চেষ্টা করছে যাতে হত্যাটি ধামাচাপা দিতে পারে। সে জানায়, আবু তালেব একজন ডাকাত নৌ চাঁদাবাজ তার বিরুদ্ধে হত্যা, বিস্ফোরক ও ধর্ষনসহ ১৬টি মামলা রয়েছে। আমি আমার বর্তমান এমপি কায়সার হাসনাত, সাবেক এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাসহ প্রশাসনের মাধ্যমে এ সুষ্ঠু বিচার চাই।

মানববন্ধনে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাবুল ভূইয়া, মো. আবু তালেব, তোফাজ্জল, মোহাম্মদ আলী, জহিরুল, আজিজুলসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।