কুকুরের বাচ্চা হয় কুকুর
বাঘের বাচ্চা হয় বাঘ
কিন্তু কখনো কখনো কিছু
মানুষের বাচ্চা কেনো হয়না মানুষ।
কাকের বাচ্চা চোর হয়না, বদমাশ হয়না,কারো ঘর বাড়ি জমি দখল করেনা,কাউকে খুণ করেনা, এমনকি শূকরেরও এই চরিত্র নাই, তাদের প্রেমেও নাই কোন ছলনা, কিন্তু মানুষ কবে পশুপাখিদের চরিত্র অর্জন করবে। মানুষের চরিত্র এতই নোংরা হতে হবে যে মৃত্যুর মিছিলের পিছনেও চুরি চামাড়ি ছাড়তে পারবেনা। আগে ওদেরকে গালি দিতাম ফকিরের বাচ্চা বলে। এখন দেখি এতদিন তাদেরকে সম্মান করা হয়েছে। তার কারন ঝিনাইগাতির এক ফকির সারাজীবন ভিক্ষা করে নিজের জীবন চালানোর পর ১০,০০০/=টাকা জমিয়েছেন। গরীবরা সঞ্চয় করে বিপদের দিনের জন্য, সেই টাকা আজ ঠিকই তার বিপদের দিনের জন্য কাজে লাগালেন। বড় লোকেরা যখন বিপদের দিনে কেউ চাউল চুরি করে, কেউ চিকিৎসা সেবা না দিয়ে ঘরে গিয়ে লুকিয়ে থাকছে, পরিবারের আপনজনেরা করোনা ভাইরাসের ভয়ে আপনজনদের ছেড়ে পালাচ্ছে, স্ত্রী তার স্বামীকে দুরে ঠেলে দিচ্ছে স্বামী তার স্ত্রীকে দুরে ঠেলে দিচ্ছে তখনই যার নাম নিয়ে প্রতিপক্ষকে গালাগাল দিয়ে আত্মতৃপ্তি পেয়েছিলাম সেই ফকিরের বাচ্চাটাই আজ তার সারাজীবনের খেটে খাওয়া হাতের শক্ত আঙুল দিয়ে খোচা মেরে দেখিয়ে দিলো মনুষ্যত্ব কোথায় নিহীত। গরীবদের আজকের এই নিষ্ঠুর সময়ে স্থানীয় ইউএনও’র হাতে তার সঞ্চিত দশ হাজার টাকা তুলে দিয়ে অসহায়দের জন্য সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়ে বড় লোকদের আক্কেল জ্ঞান অর্জনেরও রাস্তা করে দিলো। ভিক্ষার টাকাটাই বড় কথা নয় তার অন্তরের মহানুভবতাই আসল কথা।
তার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করি আল্লাহ যেন তাকে নেক হায়াত দান করেন। মৃত্যুর পর তার জন্য জান্নাতের ফয়সালা যেন আল্লাহ তায়ালা করে দেন। সকলকে শুভেচ্ছা। সকলেই সকলের জন্য দোয়া করবেন।
এই ক্রান্তিকালে সরকার নির্দেশিত নিয়ম মেনে চলি। সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখি। আমি কারো বাড়িতে যাবোনা, আমার বাড়িতে কাউকে আসতে দেবোনা। নিজে ভালো থাকি অন্যকে ভালো রাখি। করোনা ভাইরাসকে ইনশাআল্লাহ আমরা করবো জয়।ত্যুর পর তার জন্য জান্নাতের ফয়সালা যেন আল্লাহ তায়ালা করে দেন। সকলকে শুভেচ্ছা। সকলেই সকলের জন্য দোয়া করবেন।