নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকমঃ স্নিন্ধ শান্ত সৌন্দর্যের প্রকৃতি তার আপন মহিমায় চলে অবিরাম। এই অবিরাম পথচলায় প্রকৃতি শুরু মানব সমাজকে বিলিয়ে দিয়েছে অকাতরে। কখনো এর মধ্যে কার্পন্য পরিলক্ষিত হয়নি। কিন্তু মানব জাতি সুন্দর সমাজ সভ্যতা গড়ার নামে প্রকৃতি ও পরিবেশের উপর বার বার করেেছ ক্ষত-বিক্ষত।
প্রকৃতিতে মানব সমাজের বসবাসের জন্য মানব প্রকৃতির মধ্যে কতগুলো বন্ধন থাকতে হয়। প্রাকৃতিক ও মানুষ্য সৃষ্ট পরিবেশের সমষ্টিই হলো মানব পরিবশে। প্রকৃতির সঙ্গে প্রযুক্তির, বিজ্ঞানের সঙ্গে ধর্মের পারি পার্শ্বিকতার সঙ্গে শিক্ষার, নগরায়নের সঙ্গে গ্রামীণ পরিবেশের সামঞ্জস্য বিধান করতে হয়। কিন্তু আমাদের সমাজের পরিবেশ প্রকৃতিক বিষয়ে জ্ঞান-বুদ্ধি বিবেচনা একেবারেই নগন্য। অসংখ্য অসামজ্ঞস্য ও অযৌক্তিক অন্ধ বিশ্বাসে ভ্রান্ত ভাবে আমরা বিকশিত হওয়ার চেষ্টা চালিয়েছি প্রতি নিয়ত। প্রকৃতি ও পরিবেশের প্রতি জ্ঞান বিচার ছিল একেবারেই গৌন।
এসব কারণে প্রকৃতি আজ মানবকূল তথা আমাদের প্রতি বিমুখ ও ক্ষুদ্ধ। আমরা মানুষ প্রজাতি প্রকৃতিকে লুন্ঠন করায় এবং এর মাত্রা অতিরিক্ত ভাবে ছড়িয়ে যাওয়ার প্রকৃতি আজ ক্রমেই প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে উঠেছে। যার ফলে সার্স, মার্স, নিপা, ইবোলা, সোয়াইন ফ্লু, বার্ড ফ্লু, ডেঙ্গু ও করোনা বা কেভিট-১৯ এর মধ্যে নানা রোগ বালাই সহ বিভিন্ন ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগ হানা দিচ্ছে।
দাম্ভিক মানসিকতার মানুষ তাই আজ তার জনস্বাস্থ্য রক্ষা করতে প্রায় ব্যর্থ এব করুণ ভাবে অসহায় বোধ করছে। প্রকৃতিক প্রতিশোধের রেশ কাটলেই হয়তো এর শেষ দেখা যেতে পারে। এখন যিনি এই ভুখন্ড সৃষ্টি করেছেন অথাৎ সমগ্র প্রকৃতি ও মানব জাতির প্রতিপালক মহান সৃষ্টিকর্তার দয়া ছাড়া এর থেকে পরিত্রান সম্ভব নয়।
পরিশেষে কালমাক্সের উক্তি দিয়ে শেষ করা যায়, “মানুষ কর্তৃক মানুষ শোষন ও মানুষ কর্তৃক প্রকৃতি শোষনের অবসানই সভ্যতার উন্নয়ন সম্ভব।