নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আর মাত্র ৩দিন পর আগামী ১ আগষ্ট শনিবার ঈদুল আযহা। ঈদকে সামনে রেখে এবার এখনো জামে উঠেনি রেডিমেট কাপড়ের দোকানগুলো। করোনার প্রাদূর্ভাব ও বন্যার কারনে এখনও স্বাভাবিক হয়ে উঠতে পারেনি মানুষের জীবন যাত্রা আয়ের পথ। তাই দিনে কয়েকজন ক্রেতার দেখা মিললেও আশানুরুপ ক্রেতা না পাওয়ার ফলে ক্রেতাশুন্য অলস সময় কাটাচ্ছে দোকানীরা। ফলে ঈদুল ফেতরের মতো আবারও লোকসানের মুখে পড়তে হবে দোকানীদের।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, কাঁচপুর ও মেঘনা শিল্পনগরীর বিপনী বিতানগুলো ঘুরে দেখা গেছে এবার ঈদে ভিন্ন চিত্র। অন্যান্য বছর ঈদের আগের কয়েকটি দিন ক্রেতা নিয়ে ব্যস্ত সময় কাটান দোকানীরা। কিন্তু এবার একটু ভিন্ন চিত্র। বেশীর ভাগ দোকানেই দেখা মিলিনি আশানুরূপ ক্রেতা। দোকানে ক্রেতাদের আকর্ষণ বাড়তে বাহারী পোশাক সাজিয়ে রাখলেও দিনে হাতে গোনা কয়েকজন ক্রেতা থাকলেও নেই বেচাকেনা। ফলে অনেক দোকানীই অলস সময় পার করছেন।
দোকান মালিকরা জানান, গত ঈদুল ফেতরে করোনা কারণে সচেতন মানুষেরা ঘর থেকে বের হননি কেনাকাটার জন্য। এছাড়া করোনার কারণে ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ থাকার কারণে মানুষের আয়ের পথ বন্ধ হয়ে যায়। তাই ইচ্ছা থাকলেও অনেকে ঈদের কেনাকেটা করতে পারেননি। তবে ঈদুল ফেতরের ১০দিন আগে সারা দেশের মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো সরকার খুলে দিলেও সোনারগাঁয়ে মার্কেটগুলো ছিল বন্ধ। তাই তারা আশা করেছিল ঈদ উল ফেতরে যারা কেনাকাটা করতে পারেননি তারা এবার কেনাকেনা করবে কিন্তু তারা যা আশা করেছিলো তার বিন্দুমাত্রও আশা দেখছেন না। মানুষ যে ভাবে কেনাকাটা করার কথা ছিল সেভাবে দোকনে আসছেনা। তাই অন্য কোরবানীর ঈদের চেয়ে এবার বেচাকেনা আরো খারাপ। তারা আরো জানান, কাপড়ের দোকানদাররা প্রতি বছর ২টি ঈদে যে পরিমান বেচাকেনা করেন তা বছর জুড়ে করতে পারে না। আর দুই ঈদের যে পরিমান লাভ হয় সে লাভের টাকা দিয়ে সারা বছরের লোকসান পুষিয়ে নেন। কিন্তু এবার করোনা কারণে পর পর ২টি ঈদে বেচাকেনা করতে না পারায় বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়তে হবে তাদের। কারন বেচাকেনা না থাকলেও শ্রমিকের বেতন, দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করতে হবে। সে জন্য বড় ধরনের লোকসান গুনতে হবে প্রতিটি দোকানদারদের।
ঈশা খাঁ প্লাজার প্লাস পয়েন্টের মালিক সজিব জানান, অন্যান্য বছর কোরবানীর ঈদে বেচাকেনা না হলেও প্রতিদিন গড়ে ৩০/৪০ হাজার টাকা বেচাকেনা হতো। কিন্তু এবার করোনার কারণে আগের মতো বেচাকেনা নেই। ফলে ঈদুল ফেতরের মতো এবার ঈদুল আযহায়ও ব্যবসায়ীদের ক্ষতি হয়ে যাবে। তিনি আরো জানান, করোনার কারণে ৪/৫ মাস সব কিছু বন্ধ ছিল এখন আস্তে আস্তে খুললেও ব্যবসা বানিজ্য স্বাভাবিক হতে পারেনি। ফলে মানুষের হাতে টাকা কম থাকায় কেনাকাটাও কম হচ্ছে।