নিউজ সোনারগাঁ টুয়েনন্টিফোর ডটকম: বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সামনে প্রতিদিনই তীব্র যানজেটর সৃষ্টি হচ্ছে। যানজট নিরসনে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জাদুঘরের মুল ফটকের সামনে সরকারী জমিতে নির্মান করা কয়েকটি আধাপাকা দোকানপাট উচ্ছেদ করছে। কিন্তু মুল পাকিংয়ের সামনে রাস্তার উপর গড়ে তোলা দোকারপাট উচ্ছেদ না করায় প্রতিদিনই তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। এতে ভোগান্তীতে পড়ে স্থানীয় এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীরা। যানজটের কারনে জাদুঘরের সামনে একাংশ রেখে অন্য অংশ উচ্ছেদ নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশও করেছে স্থানীয়রা। বর্তমানে তীব্র যানজটের কারনে ভোগান্তীর জন্য উপজেলা প্রশাসনকে দায়ী করছে তারা।
এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দিঘিরপাড় গণবিদ্যালয়ের সামনে সরু ব্রিজ থেকে শুরু করে জাদুঘরের পাকিং পর্যন্ত দেয়াল ঘেষে কিছু অসাধু দোকানদার দোকান নির্মান করে তাদের গোডাউন হিসেবে ব্যবহার করছে। সেজন্য মোগরাপাড়া চৌরাস্তা থেকে আসা গাড়ীগুলো ঠিকমত চলাচল করতে পারে না। অপরদিকে পাকিং থেকে বের হওয়া গাড়ীগুলোও দোকানের জন্য বের হতে পারে না। এতাবস্থায় পানাম নগরী থেকে আসা গাড়ীগুলো মোগরাপাড়া চৌরাস্তা আসতে পারে না এ দোকানগুলোর কারনে। ফলে ত্রিমুখী গাড়ীর চাপে প্রতিদিন জাদুঘর এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে।
যানজট থেকে নিরসনের জন্য উপজেলা প্রশাসন জাদুঘরের মুল ফটকের সামনে দোকানগুলো উচ্ছেদ করলেও তার কিছুদুর সামনে রাস্তার উপর নির্মান করা দোকানগুলো উচ্ছেদ না করার কারনে মুলত এ যানজট সুষ্টি হচ্ছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। যানজট নিরসনে একপাশ উচ্ছেদ করে আরেক পাশ উচ্ছেদ না করায় তারা উপজেলা প্রশাসন উপর স্বজনপ্রীতির অভিযোগ তুলেন।
এলাকাবাসী জানান, জাদুঘরের সামনে যানজট নিরসনে আমরা সরকারী জমির পাশাপাশি পাকিংয়ের সামনে ও দেয়াল ঘেষে যে সকল অবৈধ দোকান তৈরী করা হয়েছিল সেগুলোও উচ্ছেদের জন্য উপজেলা প্রশাসনকে জানিয়েছি এবং দেখিয়ে দিয়েছি। কিন্তু প্রশাসন অজ্ঞাত কারনে সেগুলো উচ্ছেদ না করেই চলে গেছে। পরবর্তিতেও আমরা ফোনে জানিয়েছেছি কিন্তু কোন উচ্ছেদই হয়নি ফলে ভোগান্তীতে এলাকাবাসীসহ দশনার্থীরা|
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, উচ্ছেদ করতে কিছু কাগজপত্র লাগে। ইচ্ছা করলেও কাউকে উচ্ছেদ করা যায় না বলে তিনি নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করেন।