নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকারী নির্দেশ অমান্য করে দীর্ঘদিন ঘরের বাহিরে থাকার পর দিনে দিনে করোনা রোগী রেড়ে যাওয়া নিজে থেকে বিভিন্ন গ্রাম ও পাড়া মহল্লা লক ডাউন করা হচ্ছে। তবে তাদের এ লক ডাউনটিকে পজেটিভ হিসেবে দেখলেও সরকারী নির্দেশ মোতাবেক তারা ঘরে থাকলে হয়ত করোনা ভাইরাস থেকে আরো মুক্ত থাকা যেত বলে মনে করছেন সচেতন নাগরিকরা।
জানা গেছে, গত ৩ দিন ধরে নারায়ণগঞ জেলায় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলছে সাথে লম্বা হচ্ছে লাশের সংখ্যাও। এ পর্যন্ত সারা দেশে ১২৩ জনের মত করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে তার মধ্যে নারায়ণগঞ্জে ৩৫জন। মৃতের সংখ্যা ৫জন। নারায়নগঞ্জে জামিতিক হারে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ায় কিছুটা আতঙ্কে আছেন সোনারগাঁবাসী। এর কারণ হিসেবে গত ২৯ মার্চে বন্দর উপজেলায় এ মহিলা মৃত্যুর পর কিছুটা আতঙ্ক সৃষ্টি হয় সোনারগাঁসীর মধ্যে। এছাড়া প্রতিদিনই নারায়ণগঞ্জে করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ায় কিছু উদ্বিগ্ন। ফলে তারা নিজেদেরকে করোনা মুক্ত রাখতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও মহল্লায় বাঁশ দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে যাতে বাহিরের কোন লোক এলাকায় প্রবেশ করতে না পারে এবং বিশেষ কাজ ছাড়া কেউ যাতে বাহিরে যেতে না পারে। এছাড়া সচেতনার লক্ষে প্রতিটি মসজিদে মসজিদে মাইকিং করেও সবাইকে ঘরে থাকার আহবান জানানো হয়েছে। এছাড়া সোনারগাঁয়ের সংসদ লিয়াকত হোসেন খোকা গতকাল রবিবার তার ফেসবুক আইডিত সোনারগাঁ এলাকা লক ডাউন চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করার পর লক ডাউনের ব্যাপারটি জোড়ালো হয়। তবে, হঠাৎ করে হুটহাট করে উপজেলার অনেক এলাকায় বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেয়ায় বিপাকে পড়েছে অনেকে। এতে দেখা গেছে অনেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রিক্সা কিংবা ভ্যানগাড়ীতে করে নিয়ে যেতে পারছেনা। অনেকে আবার ত্রান সামগ্রী বিতরন ও নিয়ে যাওয়াতে বিলম্বনা পোহাতে হচ্ছে।
তবে সচেতন নাগরিকরা জানান, সরকারের নির্দেশ মোতাবেক যদি সোনারগাঁয়ের মানুষ আগে থেকে এভাবে সচেতন হত তাহলে করোনা সংক্রমণ থেকে অনেক লোক রক্ষা পেত।