নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: প্রায় আড়াই মাস লকডাউন থাকার পর প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে সোনারগাঁ উপজেলাসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর রবিবার সকাল থেকে খুলেছে অফিস আদালত, দোকানপাট ও কলকারখানাসহ সকল প্রকার উৎপাদনমূখি শিল্প। ফলে কর্মচাঞ্চল্য উপজেলা ও মোগরাপাড়া চৌরাস্তা ও কাঁচপুরসহ গুরুত্বপুর্ণ এলাকায় ফিরে এসেছে চিরচেনা রূপে। কর্মব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন অফিসগুলোও। সেখানে প্রয়োজনে ভীড় করছে উপজেলার বিভিন্ন প্রাপ্ত থেকে আগত মানুষেরা।
গত ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম করোনা রোগী সনাক্ত হওয়ার পর গত ২৬ মার্চ সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁ উপজেলার সকল সরকারী বেসরকারী অফিস আদালত ও দোকানপাটসহ সকল ব্যবসা বানিজ্য। নারায়ণগঞ্জ জেলায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ জেলা জুড়ে লক ডাউন ঘোষনা করে আইএসপিআর। সে থেকে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান, বাজার ও ফার্মেসী ছাড়া বাকি সকল প্রকার ব্যবসা বানিজ্য বন্ধ করে দেয়া হয়। এদিকে, লক ডাউন চলাকালীন সময়ে কিছু মানুষ প্রয়োজনে অপ্রয়োজনে বাহিরে বের হওয়ার প্রবনতায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অর্থদন্ডে দন্ডিত করেন। এদিকে গত ১০ মে দেশের সকল ব্যবসা বিপনী বিতান ও শপিংমল গুলো খূলে দিলেও সরকারী নিয়ম অনুযায়ী স্বাস্থ্য বিধি না মানার কারণে ১৪ মে সোনারগাঁয়ের সকল মার্টেক ও শপিংমলগুলো বন্ধ করে দিয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন উপজেলা প্রশাসন। এরপর সরকারী নিষেজ্ঞাধা অমান্য করে কিছু মার্কেট খোলা রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৫৯ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এদিকে লক ডাউন শিথির করে ৩১ মার্চ সকল অফিস আদালত ও গণপরিবহন খুলে দেয়ায় ফের প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায়। লক ডাউন শিথিল করার পর থেকে খুলেছে সকল মার্কেট ও শপিংমলগুলো। খুলে দেয়া হয়েছে সরকারী বেসরকারী অফিস আদালত, কলকারখানাসহ ছোট বড় সকল প্রকার উৎপাদিত শিল্প প্রতিষ্ঠান। ফলে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় অতিরিক্ত গাড়ীর চাপে দিনভর লেগে থাকে দীর্ঘ যানঝট। দীর্ঘদিন ধরে সকল প্রকার ব্যবসা বানিজ্যসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ায় সকাল থেকে আগের মতো অতিরিক্ত মানুষের চাপে লোকে লোকারণ্য পড়েছে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার অলিগলি। ভীড় বাড়ছে দোকান ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে।
এদিকে সোনারগাঁ উপজেলা চত্বরে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন মানুষের আনাগোনা। দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর যারা তাদের প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করতে পারেনি বিশেষ করেই তারাই ভীড় করছেন উপজেলা বিভিন্ন অফিস দপ্তরে। উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরগুলোতে আসতে শুরু করেছেন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। তবে করোনা ভাইরাসের কারণে সবাই স্বাস্থ্য বিধি মেনে ঢিলেঢালা ভাবে শারীরিক দুরত্ব বজায় রেখে অফিস করছেন তারা।
তবে লক ডাউন তুলেও নিলেও সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার অনুরোধ করলেও সাধারণ নাগরিকরা এখনো করোনা ভাইরাস নিয়ে উদাসীন। ফলে প্রতিদিন বাড়ছে সোনারগাঁয়ে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা সাথে বাড়ছে মৃত্যুর মিছিলও। ফলে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে এখন উপজেলার গুরুত্বপুর্ণ স্থানগুলোতে প্রশাসনের নিয়মিত নজরদারী চালিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন সচেতন নাগরিকরা।