নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ মেঘনা নদীর পূর্ব তীরে তেতুইতলা ও রায়পাড়া এলাকায় কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের ভরাট ও দখলকৃত অংশ অবমুক্তে অভিযান চালিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এ সময় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়া হয়। জব্দকৃত বালু ও পাথর এবং ভরাটকৃত অংশ ২৩ লাখ ৬০ হাজার টাকায় নিলামে তুলে বিক্রি করে দেয়া হয়।
৬ দিনব্যাপী অভিযানের শেষদিনে বুধবার (২৯ মে) সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়ার নেতৃত্বে মেঘনা নদীতে এ উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী, উপ পরিচালক মো. শহীদুল্লাহ, সহকারি পরিচালক এহতেশামুল পারভেজ।
এদিকে একটি কোম্পানির এক কিলোমিটার ভরাটকৃত অংশের নিলাম আহ্বান করা হয়। নিলামে অংশ নিতে আসলে স্থানীয় ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেনের উপর হামলা চালায় প্রতিপক্ষের লোকজন এমন অভিযোগ পাওয়া যায়। স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে তার পূর্ব বিরোধ ছিল। এ বিরোধের জের ধরেই তার উপর হামলা চালানো হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
উচ্ছেদ অভিযানে দুটি ভেকু, দুটি উদ্ধারকারী জাহাজ, একটি টাগবোট, বিপুল সংখ্যক উচ্ছেদ কর্মী, পুলিশ ও আনসার সদস্য, বিআইডব্লিটিএ’র এর কর্মকর্তা কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিআইডব্লিউটিএ’র নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের যুগ্ম পরিচালক গুলজার আলী বলেন, মেঘনা নদীর তীরে তেতুইতলা ও রায়পাড়া এলাকায় কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান নদীর সীমানার ভেতরে এসে বালু দিয়ে নদী ভরাট করে নদীর জায়গা দখল করে। পরে বিআইডব্লিউটিএ’র উপসচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নেতৃত্বে ভরাট ও দখলকৃত অংশ অবমুক্তে অভিযান চালানো হয়। ভেকু দিয়ে নদীর বেশ কিছু মাটি খনন করে নদী অবমুক্ত করা হয়। এছাড়া মোনায়েম ও প্রভিটা গ্রুপের ভরাটকৃত বালি নিলামে তুলে ২৩ লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে।
তিনি বলেন, মেঘনা নদীর দুই তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ৬ দিনব্যাপী অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে নদী দখল ও ভরাটের অভিযোগে বেশ কিছু শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালিত হয়। জব্দকৃত বালু ও পাথর দেড় কোটি টাকার বেশী নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। এছাড়া দুটি ৪ তলা ভবন, ২টি দোতলা ভবনসহ গত ৬ দিনে দুই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মিয়া জানান, ঈদের পরে নদী দখলকারীদের বিরুদ্ধে আরো জোরদার অভিযান পরিচালিত হবে। নদী দখলকারীরা যত প্রভাবশালী হোক না কেন তাদের ছাড় নেই।