নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব না মানার কারনে মহামারী করেনা মোকাবেলায় গত ১৪ মে সোনারগাঁ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলার সকল মার্কেট ও শপিংমলগুলো বন্ধ ঘোষনা করেছে উপজেলা প্রশাসন। সকল দোকানপাট, সভা সমাবেশে ও ওয়াজ মাহফিল নিষিদ্ধ করে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি গণবিজ্ঞাপ্ত জারি করা হয়। এরপর কিছু মার্কেট খোলা রাখার অপরাধে ১০জনকে আটক করে ৫৯ হাজার জরিমানা করে করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। প্রশাসনের কঠোরতার কারণে ২/১ মার্টেক বন্ধ রাখলে গত ৩ দিন ধরে পুনরায় আবার মার্কেটের পেছনের গেইটখুলে প্রতিটি দোকানে ২/৪জন করে কাষ্টমার প্রবেশে করে ব্যবসা পরিচালনা করছেন কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা। এতে সহযোগিতা করছেন মার্কেট মালিকরা।
সরেজমিনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার গ্যান্ডট্যাংক রোডের পূর্ব ও পশ্চিম পারের কয়েকটি মার্কেট ঘুরে দেখা যায় বুধবার সকাল থেকে প্রতিটি মার্কেটের সামনে মেইন গেইটের বন্ধ করে গেইটের র্কেটের সামনে দাড়িয়ে আছেন কয়েকজন যুবক। মার্কেটের সামনে দিয়ে কোন মানুষ গেলেই মার্কেট খোলা আছে বলে ভেতরে প্রবেশ করিয়ে দোকানের সাটার খুলে দু একজন করে দোকানে প্রবেশ করিয়ে ভেতরে বেচা কেনা করতে দেখা যায়।। যেখানে মানা হচ্ছে স্বাস্থ্য বিধি ও সামাজিক দুরত্ব।
এ ব্যাপারে এক মার্কেটের দোকানদান জানান, ঈদের সময় আমাদের বেচাবিক্রির সময়। সারা বছর যা ইনকাম করি এ সময়টাই তার চেয়ে বেশী করি। করোনা ও প্রশাসন মার্কেট বন্ধ করে দিয়ে এ প্রশ্নের জবাবে জানান, করোনার রোগী বাড়ছে জানি কিন্তু কি করমু ইনকাম না থাকলে কতদিন বসে খামুম দোকানের ভাড়া আছে কর্মচারীর বেতন আছে। এসব ম্যানেজ করতে অপরাধ জেনেও যতটুকু পারি সাস্থ্য বিধি মেনে ব্যবসা করার চেষ্টা করছি।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, মানুষকে কত বুঝাবো। করোনার শুরু থেকে সবাইকে মুক্ত রাখতে সচেতনা তৈরী থেকে শুরু করে সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান ও ত্রানসহ সব ধরনের চেষ্টা করে যাচ্ছি। তাদের করোনা মুক্ত রাখতে ১০জন পুলিশ সদস্যও করোনা আক্রান্ত হয়েছে। করোনার সংক্রমণ কমাতে উপজেলার সকল মার্কেটগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে, তারপরও কিছু মার্কেট খোলা রাখার অপরাধে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। তারপর এসব মানুষের মাঝে সচেতনা আসছে না তারপর আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষকে ঘরে রাখতে।