নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: আগামী ঈদুর ফিতরকে সামনে রেখে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকাকে যানজটমুক্ত করতে এবার সোনারগাঁ থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বাঁশ দিয়ে ভারী যানবাহন বন্ধ করে দিয়েছেন সোনারগাঁ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ। সোনারগাঁবাসী যাতে যানজটমুক্ত হয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে পারে মুলত সেজন্যই ঈদের আগ থেকে ঈদের তিনদিন পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টায় মোগরাপাড়া থেকে শহীদ মজনু পার্ক পর্যন্ত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এজন্য ভারি যানবাহনকে বিকল্প রাস্তা হিসেবে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টিরপদী হয়ে শহীদ মজনু পার্ক ব্যবহার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এর আগে সোনারগাঁয়ের সাংসদ লিয়াকত হোসেন খোকাও ২বার বাঁশ দিয়ে এ রাস্তাটি বন্ধ করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তা ২ দিনের বেশী স্থায়ী হয়নি।
জানাগেছে, উপজেলার বৈদ্যেরবাজার এলাকায় আমান ইকোনোমিক জোন ও মেঘনা গ্রুপসহ কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠান নির্মান করার পর মোগরাপাড়া চৌরাস্তা হতে বৈদ্যেরবাজার পর্যন্ত দিনে কয়েকশত ভারী যানবাহন চলাচল শুরু করে। ভারী যানবাহনের জন্য থানা রোডে প্রতিদিনই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অসহনীয় যানজট পোহাতে হত এ রোডে চলাচলরত যাত্রী সাধারণ ও এলাকাবাসীকে। যানজটের জন্য ৩ মিনিটের রাস্তা পাড়ী দিতে সময় লাগতো ১৫/২০ মিনিট । এ নিয়ে এলাকাবাসী আমান ইকোনোমিক জোন ও মেঘনা গ্রুপের ভারী যানবাহন এ রোডে চলাচল বন্ধে মানববন্ধন ও উপজেলা প্রশানসকে স্মারকলিপি প্রদান করে। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন ভারী যানবাহন বন্ধ ও যানজট নিরসনে কোন প্রদক্ষেপই নিতে পারিনি। পরে সোনারগাঁয়ের সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকা ২বার বাঁশ দিয়ে এ রাস্তাটি বন্ধ করে দেন। কিন্তু উপর মহলের চাপে ২ দিনের বেশী স্থায়ী হয়নি। এবার যানজট নিরসনে প্রদক্ষেপ নেন সোনারগাঁ থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ। তিনি শুরুতেই থানা রোডের কয়েকটি স্থানের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেন। সাথে দীর্ঘদিন দখল করে রাখা দুটি মার্কেটের সিড়িও অপসারণ ও রোড়ের মাঝখান থেকে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি । তিনি যানজট নিরসনে ফুটওভার ব্রিজের নিচের দোকানপাট উচ্ছেদ করে সেখানে সিএনজি ও আটোরিক্সা পার্কিং করে দেন। এতে মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় কিছুটা যানজট নিরসন হয়। এবার ঈদকে সামনে রেখে সোনারগাঁবাসী যাতে যানজটমুক্তভাবে ঈদের কেনাকাটা করতে পারে সেজন্য ভারী যানবাহন বন্ধে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার থানা রোডের প্রবেশ মূখ বাঁশ দিয়ে বন্ধ করে দেন। ঈদের আগ থেকে ঈদের তিনদিন পর্যন্ত সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এ রোড়ে সকল ভারী যানবাহন বন্ধ রাখার ঘোষনা দেন। ফলে আগামী ঈদে কিছুটা হলেও যানজটমুক্ত হয়ে ঈদের কেনাকাটা ও চলাফেরা করতে পারবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা।