চন্ডীপাঠ, বেধন এবং দেবীর অধিবাসের মধ্য দিয়ে সোমবার থেকে বাঙালি সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে।
১১ অক্টোবর সোমবার ছিল মহাষষ্ঠী দেবীয় স্থাণ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে উৎসবের শুরু হলো। সোমবার দেবী আসনে আসীন হয়েছেন। মহালয়ার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছিল দেবী দুর্গার আগমনের ক্ষন। এবারে দেবী দুর্গা ঘোটকে (ঘোড়ায়) মর্ত্যলোকে আসেন এবং দোলায় (নৌকা) চড়ে আবারো কৈলাশ পহেঁতে স্বামী গৃহে ফিরে যাবেন। মঙ্গলবার মহাসপ্তমী। সকাল ৬ টা ৪৫ মিনিটে তিথি শুরু হবে। তিথি অনুযায়ী নবপত্রিকা প্রবেশ ও পূজা শুরু হবে। পূজা শেষে পুণ্যার্থীরা উপবাস পালন করে জালি দেবেন মায়ের চরণে। রাতে আরতি সহ ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হবে। এবারে সোনারগাঁয়ের পূজামণ্ডপগুলো শুরু দর্শনার্থীদের জন্য বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে।
রোববার রাতে সরেজমিনে দেখা যায়, পঞ্চমীতেই পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে বের হয়েছেন অনেক ভক্ত দর্শনার্থী ইজিবাইকে কিংবা রিকশা নিয়ে এক মপ থেকে অন্য মস্তপ ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিছু মন্ডপ প্রাতিমা কাজ শেষ না হলেও অনেক মন্ডপ ছিল প্রস্তুত। ষষ্ঠীর দিন থেকেই আলোকসজ্জা ও সাউন্ড সিস্টেম সব ঠিক আছে কিনা দেখে নিচ্ছেন। এ সুযোগে মন্ডপে গিয়ে প্রতিম দেখে নিচ্ছেন ভক্ত দর্শনার্থীরা।
তেমনি একজন সুভাশ সাহা তিনি বলেন, সোমবার সকালে গ্রামের বাড়িতে চলে যাবো পূজা করতে। আর ফিরবো দশমীর পর। ফলে সোনারগাঁয়ের পূজা মন্ডপ গুলো দেখা হবে না। তাই পঞ্চমীতেই ছেলে মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি পূজা মস্তপ গুলো দেখে নিতে।
উল্লেখ বিশুদ্ধ লোকনাথ পঞ্জিকা অনুযায়ী অগমী ১১ অক্টোবর ষষ্ঠীতে দেবীর দুর্গার বোধন, আমন্ত্রণ ও অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে পাঁচনিনের শারদীয় দুর্গাপূজার অনুষ্ঠানিকতা। ১২ অক্টোবর সপ্তমী, ১৩ অক্টোবর মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা, ১৪ অক্টোবর মহানবমী এবং ১৫ অক্টেবর বিজয় দশমীতে প্রতিমা বিসর্জন ও বিজয়া শোভাযাত্রার মধো দিয়ে শেষ হবে এই বর্ণিল উৎসব ।