নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: লক ডাউন শিথিল করে গত বৃহস্পতিবার থেকে জেলা ভিত্তিক যাত্রীবাহি পরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। পরিবহন চালু হবার পর থেকে মেঘনা থেকে চিটাগাং পর্যন্ত কয়েকটি লোকাল সার্ভিস বাসগুলো যাত্রী পরিবহন শুরু করেছে। যাত্রী পরিবহন শুরু করার পূর্বে সরকার স্বাস্থ্যবিধি কঠোর ভাবে মানা বাধ্যতামুলক করা হলেও তা মাননছেনা যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকরা। এতে করোনা ঝুঁকি কমার চেয়ে বেড়ে যাওয়ার আশংকা করছে সাধারণ যাত্রীরা।
সরেজমিনে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় বাসষ্ট্যান্ডগুলো ঘুরে দেখা দেখে গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কয়েকটি লোকালবাস সার্ভিস চালু হয়েছে। তারা যাত্রী নিয়ে চিটাগাং রোড পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করেছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতি সিটে একজন করে যাত্রী পরিবহনের কথা থাকলে প্রতি সিটি বসছে আগের মতো দু’জন করে। সিট ছাড়াও অনেক বাসে দাড়িয়েও যাত্রী নিতে দেখা গেছে। এতে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। তবে সরকারের বেধে দেয়া কোন স্বাস্থ্যবিধি না মানলেও ভাড়ার ব্যাপারে সরকারের দেয়া নিয়মের চেয়েও কঠোর বাস শ্রমিকরা। এদিকে যাত্রীরাও উপায় না পেয়ে গাদাগাদি করে করোনার ঝুঁকি নিয়ে বাসে চলছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকায় বাসের যাত্রী ফিরোজ মিয়া জানান, তিনি জরুরী কাজে ঢাকা যাচ্ছেন। সিএনজি দিয়ে গেলে তাকে একশত টাকা গুনতে হবে। এছাড়া রিকস তো আছেই। তার চেয়ে ভাল বাসে, যদিও করোনার ঝুঁকি রয়েছে তারপরও তিনি নিজের টাকা ও সময় বাঁচাতে বাসে চলছেন।
পরিবহন শ্রমিক কামরুল জানান, আমরা সরকারী নিয়ম মাফিক স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী যাত্রী উঠানোর চেষ্টা করছি কিন্তু যাত্রীরা মানছে না তাদের কথা।তারা জোড় করে বাসে উঠে পড়ে। বেশী জোড়াজোড়ি করলে বলে আমরা করোনার ঝুঁকি নিয়ে যেতে পারলে তোদের কি সমস্যা।
তবে, সাধারণ সচেতন নাগরিকরা জানান, বাস চালু করার জন্য আমরা সরকারকে সাদুবাদ জানাই। তবে, বাসের তুলনায় যাত্রী বেশী হওয়ায় যাত্রী ও বাসের শ্রমিকরা মানছেনা স্বাস্থ্য বিধি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে সরকারকে আরো কঠোর হতে হবে।