নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সম্প্রতিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সোনারগাঁ উপজেলায় বাড়ছে অপহরন করে মুক্তিপন আদায়। চলতি মাসে মহাসড়কে ৩টি অপহরনের ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে ২ শ্রমিকসহ একজন ব্যবাসীয়ও রয়েছেন। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন ভুক্তভোগীরা।
জানাগেছে, চলতি মাসের ৩ তারিখে মেঘনা শিল্পাঞ্চল এলাকার আব্দুর মোমেন সুগারের শ্রমিক আঃ মতিন মেঘনা ব্যাপারী বাজারের সামনে একা দাড়িয়ে মোবাইলে কথা বলছিল। এসময় একটি কালো মাইক্রোবাস দ্রুতগতিতে এসে দাড়ায়। এসময় গাড়ীর দরজা খুলে ৩জন লোক একটি কালো কাপড় দিয়ে মুখ বেঁধে গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। পরে অপহৃত মতিনকে মারধর করে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তার মোবাইল ফোনে তার বাড়িতে ফোন করে ১লাখ টাকা দাবি করে। এসময় মতিনের পরিবার মতিনকে বাঁচাতে ১৫ হাজার টাকা বিকাশ করে পরে তাকে জাঙ্গাল এলাকায় চোখ বেঁধে ফেলা যায়। এ ঘটনায় মতিন সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
গত ১০ জানুয়ারী শুক্রবার সকালে মোনেম সুগারের আরেক শ্রমিক কাওয়ার মিয়া (৩০) ব্যাপারী বাজারের সামনে দাড়িয়ে ছিল। এসময় একই স্টাইলে একটি কালো মাইক্রোবাসে করে কয়েকজন লোক তার চোখে বেঁধে দ্রুত গাড়ীতে তুলে নিয়ে যায়। গাড়ীতে তাকে মারধর করে কাওয়াসের ফোন দিয়ে তার বাড়িতে ফোন দিয়ে ৫০ হাজার মুক্তিপন দাবি করে এবং তাকে মারধর করার চিৎকার তার পরিবারকে শুনানো হয়। পরে তার পরিবার বিভিন্ন জায়গা থেকে ম্যানেজ করে ১৩ হাজার ৫শত টাকা বিকাশ করে। পরে রাত ৮টার দিকে তাকে পিরোজপুর ইউপি সামনে মারীখালী ব্রিজের কাছে ফেলে চলে যায়। এ ঘটনায়ও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
অপরদিকে, গত ১৯ জানুয়ারী সকাল ১১টার দিকে সোনারগাঁও শপিং কমপ্লেক্সের ব্যবসায়ী মোঃ মাহফুজ ৫ লাখ টাকা নিয়ে মোগরাপাড়া চৌরাস্তার কাঁচাবাজার এলাকায় অবস্থিত ইসলামী ব্যাংকের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়। এরপর থেকে সে নিখোঁজ হয়। এ ঘটনায় তার ছোট ভাই আরিফ বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। পরে ওই দিন রাত ৯টার দিকে লোক মারফত মাহফুজের স্বজনরা জানতে পারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বন্দর উপজেলা জাঙ্গাল বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় একজন লোক অচেতন অবস্থায় পড়ে আছে। খবর পেয়ে তার স্বজনরা সেখানে গিয়ে অচেতন ও আহত অবস্থায় ব্যবসায়ী মাহফুজকে সনাক্ত করে। পরে মাহফুজ কিছুটা সুস্থ হয়ে জানান কে বা কাহারা তাকে মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকা থেকে তুলে নিয়ে যায় এবং তাকে মারধর করে সাথে থাকা ৫ লাখ টাকা নিয়ে গিয়ে তাকে জাঙ্গাল ফেলে যায়।
এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, অপহরনের ব্যাপারে কয়েকদিন আগে একজন ব্যবসায়ী অপহরন হয়েছে শুনেছি কিন্তু ব্যবসায়ীর পরিবার থেকে কোন লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। আর বাকিগুলি আমার জানা নেই। তবে, যদি এরকম ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে আমরা এসময় এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়াবো।