নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ পবিত্র মাহে রমজানকে ঘিরে অস্থির হয়ে উঠেছে সোনারগাঁয়ের ফলের বাজার। রোজা যত বাড়ছে ফলের দামও লাফিয়ে লাফিয়ে ততই বাড়ছে। ক্রেতারা বলছে রোজাকে ঘিরে ফলের ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে অপরদিকে, ব্যবসায়ীরা বলছে রোজায় চাহিদা বেশী থাকায় পাইকাররা দাম বাড়িয়েছে। সোনারগাঁয়ে ফলের ফলের দাম বাড়নোকে কেন্দ্র করে ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া।
ফলের ব্যবসায়ীরা জানান, রোজার শুরুর দিন থেকে রাজধানীর ফলের আড়ৎগুলো ফলের দাম আগের তুলনায় কার্টন প্রতি ২০০-৩০০ টাকা বেশী দিয়ে ফল ক্রয় করতে হচ্ছে এজন্য খুচরা বাজারে বেশী দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
সরেজমিনে সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা, উদ্ধবগঞ্জবাজার, কাঁচপুর ও মেঘনা শিল্পাঞ্চলের ফলের দোকানগুলো ঘুরে দেখা দেখে রোজাকে কেন্দ্র করে বিক্রেতারা বাহারী রকমের মৌসুমী ফলসহ বিভিন্ন রকমের ফল সাজিয়ে রেখেছে তাদের দোকানগুলোতে।
ফলের দোকানীরা জানান, রোজার আগে আপেলের দাম ছিল প্রতি কেজি ১৬০ টাকা এখন রোজা আসাতে আপেলের দাম বেড়ে হয়েছে ২০০ টাকা, মালটা দাম ছিল প্রতি কেজি ১১০ টাকা এখন বেড়ে ১৮০ টাকা, দেশী আঙ্গুল ছিল ২০০ টাকা এখন তা এখন ৩৫০টাকা, বিভিন্ন প্রকার কালার দাম বেড়েছে কুড়ি প্রতি বেড়েছ ৫০-৬০টাকা। তরমুজ রোজার আগে ছিলো যেটা ২৫০টাকা পিস এখন তা ৬০০-৭০০টাকা, ছোট সাইজের তরমুছ ছিল ১০০টাকা এখন তার বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকায়, এছাড়া মৌসুমী ফল আম বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়, লিচু পেতি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০-৪০০ টাকায়, কদমি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০-৬০০টাকায়। চিনার ও বাঙ্গির ক্ষেত্রেও বেড়েছে প্রতিটিতে ৫০-১০০টাকা ও পেয়ারা পাওয়া যাচ্ছে ৮০-১০০ টাকা কেজিতে। এছাড়া রোজায় ইফতারে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খেজুর মরিয়ম বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকায়, বাটারী প্যাক বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০টাকায়, বড়ই খেজুর বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকায়, ফরিদা বিক্রি হচ্ছে ৩০০টাকায়, আলজাজিরা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকায়,নাগাল বিক্রি হচ্ছে ১৮০টাকায়, দাপাস বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৭০০টাকায়।