নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের উটমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও উপজেলা যুবলীগের সভাকে কেন্দ্র করে জামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পটে অবস্থান নিয়েছে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, মোশারফ হোসেন, কালাম ও এএইচএম মাসুদ দুলালের লোকজন। পুলিশ উটমা বিদ্যালয়ে দু’পক্ষের সভা নিষিদ্ধ করার পর বিরুর নেতাকর্মীরা তার বাড়িতে অবস্থান নিলে অপর পক্ষের লোকজন বস্তল, সাইদুল মার্কেট, নয়াপুর ও কাঁচপুর এলাকায় অবস্থান নেয়। এতে এক প্রকার অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে বিরুর লোকজন। তবে কোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতে এড়াতে এসব এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ দীর্ঘদিন ধরে কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হয়ে তাদের কর্মসূচী পালন করে আসছে। এছাড়া সম্প্রতিকালে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটি গঠন নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আহবায়ক কমিটিকে প্রত্যাখান করে তাদের প্রতিহতের ঘোষনা দেন সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ-কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক এএইচএম মাসুদ দুলাল ও ড. সেলিনা আক্তার। অপরদিকে, আহবায়ক কমিটিতে রয়েছেন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সামসুল ইসলাম ভুইয়া, ডাঃ আবু জাফর চৌধুরী বিরু ও ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুমসহ ৬জন। আহবায়ক কমিটি ঘোষনার পরই একটি পক্ষ আরেকটি পক্ষকে প্রতিহতের ঘোষনা দিয়ে আসছে অনেক দিন ধরেই। এমনকি আহবায়ক কমিটির সদস্যদের যেখানে পাবে সেখানে প্রতিহত করবে তারা ঘোষনা দেন। এদিকে, জামপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের উদ্যোগে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন উপলক্ষে শুক্রবার বিকালে উটমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সম্মেলনের প্রস্তুতিমুলক সভার আয়োজন করা হয়। অপরদিকে, সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের পক্ষ থেকেও একই বিদ্যালয়ে একই সময় জামপুর ইউনিয়ন যুবলীগের পক্ষে থেকে একটি বর্ধিত সভার আয়োজন করে। এ সভাকে ঘিরে গতকাল থেকেই বিদ্যালয়টির মাঠে অবস্থান নিতে থাকে দু’পক্ষের নেতাকর্মীরা। তারা দলে দলে এসে বিদ্যালয় মাঠে এসে নিজেদের শক্তির প্রদর্শন শুরু করে। দুটি গ্রুপই স্ব- স্ব স্থানে থেকে সভার প্রস্তুতি সম্পুর্ন করেছিল। তারা দু’পক্ষই যে কোন মুল্যে এখানে সভার করা ঘোষনা দেন। এ সভাকে ঘিরে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা মারমুখী অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
খবর পেয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে দু’পক্ষের সকল প্রকার সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। পরে বিরুর লোকজন বিরুর বাড়িতে অবস্থান নেয়। এদিকে সভা সমাবেশ নিষিদ্ধ হবার পর জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বিরুর বাড়িতে আসবে না বলে জানিয়ে দেয়। সাধারণ সম্পাদক বিরুর বাড়িতে প্রবেশ করার সময় তার গাড়ির ব্যানার ছিড়ে ফেলে তারা।
এদিকে, সমবেশ নিষিদ্ধ হবার পর সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত, উপজেলা চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালাম ও কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের উপ কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক এএইচএম মাসুদের লোকজন জামপুর এলাকার বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিরুর লোকজনকে বাঁধা প্রদান করে। এসময় বিরুর বাড়িতে ব্যানার নিয়ে যাওয়ার সময় তার এক কর্মীকে ও বৈদেরবাজার ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি ফারুক ও তার নেতাকর্মীকে মারধর করে ফিরিয়ে দেয়। এছাড়া কাঁচপুরে সবুর খাঁনের গাড়ি ভাংচুর করে নেতাকর্মীরা।