প্রেস বিজ্ঞতি:
সংরক্ষিত মহিলা আসনে এমপি হতে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীশেখহাসিনার কাছে বায়োডাটা জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামীলীগের শিক্ষা সম্পাদক ও স্টামফোর্ডইউনিভার্সিটি আইন বিভাগের চেয়ারম্যান ড. সেলিনা আক্তার। গতকাল রাতে গণভবনে তাঁর বাবা বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর ও সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুলতান আহমেদ মোল্লা ও স্বামী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. লুৎফুল কবির উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সাথে আলাপকালে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত অনেক কথা শোনেন। এসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দিলে ড. সেলিনাকে তিনি দেখবেন বলে আশ্বস্ত করেন। ড. সেলিনা আক্তার এবার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৩ আসন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু কেন্দ্র থেকে এ আসনে মহাজোট প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে মনোনিত করা হয় এবং দ্বিতীয়বারের মত এমপি নির্বাচিত হোন তিনি। নির্বাচনে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেতে নিরাশ হলেও সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়ন পেতে দৃঢ় আশাবাদী তিনি ।
ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন নারায়ণগঞ্জের ১১ জন নারী নেত্রী। তবে আলোচনায় রয়েছেন ৩জন নারী। সংরক্ষিত আসনেও যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে হাড্ডা হাড্ডি তা আগে থেকেই অনুমেয়। সংরক্ষিত নারী আসনে এমপি হতে ইতিমধ্যেই তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস মিলেছে।
অপেক্ষাকৃত তরুন, শিক্ষিত ও ক্লিন ইমেজ রয়েছে এমন প্রার্থীদের প্রতি আগ্রহ আওয়মীলীগের। দলীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামীলীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে প্রার্থীদের বিষয়ে খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেছেন। মন্ত্রিসভার মতোই সংরক্ষিত নারী আসনেও চমক দিতে চান তিনি। সেদিক থেকে নারায়ণগঞ্জে ও আসতে চলেছে নতুন চমকের সম্ভাবনা।
কয়েকটি বিষয়কে মাথায় রেখে সংরক্ষিত আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চূড়ান্ত করা হতে পারে। আওয়ামীলীগের সাথে দীর্ঘদিন যুক্ত থাকলেও মনোনয়ন দেয়া হয়নি, দল ও জোটের সমঝোতার কারণে এবার মনোনয়ন দেওয়া যায়নি এমন প্রার্থী, দলের দুর্দিনে যারা পাশে ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর বাতাঁর আস্থাভাজন ছিলেন এমন নেতাদের স্ত্রী, সন্তান বা পরিবারের সদস্য, ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাঁদের সার্বক্ষণিক পাশে পেয়েছেন, সেসব নেত্রীও তাঁদের পরিবারের সদস্য, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বুদ্ধিজীবীদের সন্তান ও পরিবারের সদস্য, তাঁদের স্ত্রী-সন্তান দলের সহযোগী ও সংগঠনের যেসব বর্তমান ও সাবেক নেত্রী বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনে-সংগঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছেন এমন প্রার্থীদেরকেই শেষ পর্যন্ত বেছে নেওয়া হতে পারে।