নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম: আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্যাপক আলোচনায় রয়েছেন ভট্টপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য আবু নাঈম ইকবাল। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল পর্যন্ত চলছে তাকে নিয়ে আলাপ-আলোচনা। এর আগে আবু নাঈম জেলা পরিষদ সদস্য পদে নির্বাচন করেছিলেন। সেই নির্বাচনে ফারুক হোসেনের সাথে প্রতিদ্ধন্ধিতা করে নির্বাচনে সমান সমান ভোট পান। পরে লটারীর মাধ্যমে ফারুক হোসেন জয়ী হন। সেই নির্বাচনে আবু নাঈম ইকবাল তার ব্যবহার ও আচার-আচারনে জনপ্রতিনিধিদের মনে ঠাই করে নিয়েছিলেন। এছাড়া তিনি সামাজিক ও রাজনৈতিক আঙ্গনে একজন দক্ষ ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত।

রাজনৈতিক সুত্র থেকে জানা যায়, আগামীকাল উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষনা করতে যাচ্ছে ইসি। তফসিল ঘোষনার পর অনেকটাই স্পষ্ট হয়ে যাবে সোনারগাঁ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের তারিখ ও দিনক্ষন। তবে, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পর থেকেই শুরু হয় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের হাওয়া। এদিকে সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম মান্নান উপজেলা পদ থেকে অব্যাহতি নিয়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় এখানকার চেয়ারম্যান পদটি শুন্য হয়ে যায়। ফলে সারা দেশের ন্যায় সোনারগাঁয়ে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রথম ধাপে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য সোনারগাঁবাসীর দৃষ্টি আগামী কালের তফসিলের উপর।

এদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে শুরু হয় সোনারগাঁয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের গুজন। নির্বাচন না আসতেই সোনারগাঁয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও সরক্ষিত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের পোষ্টারে ছেড়ে গেছে উপজেলা। তারা কেউ প্রকাশ্যে আবার কেউ গোপনে উপর মহলে লবিং চালিয়ে যাচ্ছেন।

তবে, সোনারগাঁয়ে এবার যে ক’জন উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান পদে নাম শুনা যাচ্ছে তাদের মধ্যে প্রথম রয়েছেন আবু নাঈম ইকবাল। তৃনমুল আওয়ামীলীগ থেকে শুরু করে উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতাদের কাছে রয়েছে তার জনপ্রিয়তা। এছাড়া সমাজ সেবক হিসেবে বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসায় রয়েছে ব্যাপক অনুদান। তিনি জনপ্রতিনিধি না হলেও দ্রারিদ্রদের অনুদান, ছেলে মেয়েদের স্কুল ড্রেস, বই খাতা, ও অসুস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়ে ব্যাপক জনপ্রিয়তাও অর্জন করেছেন।

তিনি একাধিকবার জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া উপজেলা শিক্ষা কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার সহযোগিতায় উপজেলায় শিক্ষার মান ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন।
তাছাড়া আবু নাইম ইকবাল উপজেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর উপজেলার ক্রীড়া অঙ্গনে ব্যাপক অগ্রগতির ছোঁয়া লেগেছে। তার সক্রিয় ভূমিকায় সোনারগাঁ শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে খেলাধুলা চালু রয়েছে।

তিনি সোনারগাঁ কিংস ক্লাব নামে একটি ক্রীড়া সংগঠনের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। এই ক্লাব থেকে দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের খেলাধুলায় সোনারগাঁয়ের ছেলে মেয়েরা অংশগ্রহণ করছে।

আবু নাঈম ইকবাল ইতিমধ্যে পোষ্টার ও ব্যানার ছাপিয়ে সোনারগাঁবাসীর কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন। এছাড়া গত ৩০ জানুয়ারী উপজেলার আগামী উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগ এক বর্ধিত সভার আয়োজন করেন। সোনারগাঁ পৌর এলার দিঘিরপাড় রয়েল রির্সোটে এ বর্ধিত সভার আয়োজন করা হয়। সেখানে জেলা, উপজেলার, ইউনিয়ন কমিটির ও ওয়ার্ড কমিটির নেতাদের ডাকা হয়। সেখানে আগামী উপজেলা নির্বাচনে কারা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ গ্রহন করবেন তাদের নাম প্রস্তাব। কেন্দ্রের ঘোষনা অনুযায়ী উপজেলা থেকে তৃনমুল নেতাদের প্রস্তাব অনুযায়ী ৩জন নেতার নাম কেন্দ্রে পাঠানো হবে। সেজন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের তৃনমুল নেতাদের কাছ থেকে প্রার্থীদের নামের প্রস্তাব চাওয়া হয়।

বর্ধিত সভার মূল লক্ষ্য ও উদ্দ্যেশ্য ছিল আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী চুড়ান্ত করা। সভায় তৃণমূলের নেতাদের মাঝ থেকে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীদের নাম প্রস্তাব করার আহবান করা হয়।

সভায় সর্বসম্মতি ক্রমে সেই সভায় উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য আবু নাঈম ইকবালের নাম এক নাম্বারে প্রস্তাব করা হয়।

এ ব্যাপারে আবু নাঈম ইকবাল জানান, আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তৃনমুল নেতারা আমার নাম প্রস্তাব করেছেন। সেজন্য আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই এবং তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে প্রতিদ্ধন্ধিতা করবো। আশা করি জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত করবে। আমি নির্বাচনে জয়যুক্ত হলে সোনারগাঁবাসীর উন্নয়নে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে সমাজ, দেশ ও জাতির কল্যানে বিশেষ অবদান রাখার চেষ্টা করবো।