নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৩ সোনারগাঁ আসনে মহাজোট ও আওয়ামীলীগের প্রার্থী ঘোষনা না করার বিভ্রান্তিতে পড়েছে এখানকার থানা আওয়ামীলীগ ও তৃনমুল নেতা কমীরা। আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা বলছে আসন্ন নির্বাচনের অল্প কিছুদিন বাকি থাকলেও কেন্দ্র থেকে কোন নির্দেশা না পাওয়া তারা জাতীয়পার্টির প্রার্থীর পক্ষে কাজ করবে নাকি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের পক্ষে কাজ করবে এ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্ধে আছেন তারা। ফলে স্বাভাবিক ভাবে বিঘিœত হচ্ছে দলের কার্যক্রম।
আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সোনারগাঁ আসন থেকে ৯ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে কাজ করেছেন। তাদের একটাই দাবি আগামী নির্বাচনে সোনারগাঁ আসন থেকে আওয়ামীলীগকে মনোনয়ন দেওয়া হওক। শুধু সোনারগাঁয়ের নেতাকর্মী নয় জেলা নেতাকর্মীদেরও চাওয়া এ আসন থেকে নৌকার প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হওক। আওয়ামীলীগ তাদের কারো কোন অনুরোধ না রেখে এখানে আওয়ামীলীগের কোন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়নি। ফলে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যার মোশারফ হোসেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। অপরদিকে, জাতীয়পার্টি থেকে সোনারগাঁয়ে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে মনোনয়ন দেয়া হয়। কেন্দ্র এখানে মহাজোটের প্রার্থী আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষনা না করলেও চাউর আছে এ আসনটি মহাজোটের প্রার্থী লিয়াকত হোসেন খোকাকে দেয়া হবে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত এ আসনটি মহােেজাটকে দেয়া হবে নাকি আওয়ামীলীগ কায়সারকে সমর্থন দিবেন এ নিয়ে চলছে দ্বিধাদ্বন্ধ। ফলে এখানকার আওয়ামীলীগ ও তৃমমুল আওয়ামীলীগ নেতারা পড়েছেন বিভ্রান্তিতে।
এদিকে, গত ৩ ডিসেম্বর সোমবার বিকাল ৪টায় নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে জেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ক্ষোভ ঝারেন নারায়ণগঞ্জ-৫ ও ৩ আসনের আওয়ামীলীগের নেতরা।
কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় মুক্ত আলোচনা উপস্থিত একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, নারায়ণগঞ্জের ৫টি আসনের আওয়ামীলীগের প্রার্থী নিয়ে যে কোন সময়ে প্রচারণায় নামতে প্রস্তুত। কিন্তু নারায়ণগঞ্জ-৩ ও ৫ আসনের এখনো আওয়ামীলীগের প্রার্থী দেয়া হয়নি বা কারো পক্ষে কাজ করতে সেন্ট্রাল থেকে নিদের্শনা দেয়া হয়নি। ফলে কার পক্ষে নির্বাচনের নামতে সে জন্য সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর দাবি করেন তারা। নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের এমপি সেলিম ওসমান মহাজোটের প্রার্থী হওয়া ও নির্বাচিত পরে কোন সময় জেলা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করে নাই। এর পাশাপাশি বর্তমানেও তার মহাজোটের জাতীয় পার্টি থেকে মনোনয়ন পাওয়া পরও কোন যোগাযোগ করেনি। এমনকি তাদের মনোনয়ন দেয়া ও নেয়াকালে জেলা আওয়ামীলীগের অনেকে ছিলেন না। ফলে তাদের নিয়ে আগামী দিনে কোন দিক যাবে জেলা আওয়ামীলীগ তার দিক নিদের্শনা দাবি করেন।
আরো বক্তারা বলেন, ৩ ও ৫ আসনের নৌকা প্রার্থী দাবিতে জেলার অনেকে মনোয়ন প্রত্যাশী ছিলেন কিন্তু তাদের না দিয়ে মহাজোট থেকে প্রার্থী দেয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির মিলিত মহাজোট থেকে প্রার্থী ঘোষণা করেনি। এর প্রেক্ষিতে সোনারগাঁ, সদর ও বন্দরে আওয়ামীলীগের তৃণমূল কার পক্ষে প্রচারণা করবে, তা সুনিদিষ্ট দাবি করেন অনেকে।
নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের এমপি লিয়াকত হোসেন খোকাকে নিয়ে সোনারগাঁ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সামসুল ইসলাম ভূইয়া ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান কালামের বক্তব্যে বিদ্বেষ প্রকাশ করেন।
তাঁরা দুইজনই বলেন, মহাজোটের এমপি হওয়ার পর থেকে এখনো তিনি আওয়ামীলীগের সাথে যোগাযোগ করেনি। তার কাছ থেকে আগামীতে আওয়ামীলীগের কি পাবেন তা জানা নেই।