নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: আসন্ন ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে ৩নং ওয়ার্ড থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দিতা করবেন সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম ও আবু নাঈম ইকবাল।
মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও আবু নাঈম ইকবাল নারায়নগঞ্জ জেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক। ফলে আগামী জেলা পরিষদ নির্বাচনে দুজনের লড়াই হলেও মুল লড়াই হবে জাতীয়পার্টি বনাম আওয়ামীলীগের মধ্যে।
মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম সোনারগাঁয়ের সাবেক এমপি কায়সার হাসনাতের সমর্থনে এবং আবু নাঈম ইকবাল বর্তমান সংসদ সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকার অনুসারী।
১৭ তারিখের নির্বাচনকে ঘিরে শুরু সাবেক ও বর্তমান এমপির মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা সীমাবদ্ধ নয়। এ নির্বাচনে জেলার বড় বড় নেতারা ভেতরে ভেতরে কলকাঠি নারছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ফলে আগামী ১৭ তারিখের নির্বাচন হবে জেলা দুই নেতার পন্থীদের মধ্যে।
সুত্র থেকে জানা গেছে, আগামী ১৭ অক্টোবর জেলা পরিষদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ ৩নং ওয়ার্ড থেকে ৫ জন মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেন। তারা হলেন জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম, আবু নাঈম ইকবাল, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা ফারুক ওমর, সাংবাদিক এনামুল হক বিদ্যুৎ, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আলী হায়দার। এরমধ্যে মনোনয়ন পত্র আলী হায়দার ছাড়া সবাই জমা দেন। মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে সবাই টিকলেও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন ফারুক ওমর। সুত্র জানায় ফারুক ওমর একজন শক্তিশালী প্রার্থী হলেও আবু নাঈম ইকবালকে জয়ের জন্য তাকে বসিয়ে দেয়া হয়েছে।
এদিকে নির্বাচন যতই গনিয়ে আসছে মোস্তাফিজুর রহমান মাসুম ও আবু নাঈমের মধ্যে প্রতিদ্বন্দিতা ততই জটিল হচ্ছে। তাদের নিজ পন্থীদের জেতাতে তাদের পন্থী কায়সার হাসনাত ও লিয়াকত হোসেন খোকা মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। সম্প্রতি গতকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জম্মদিন উপলক্ষে কেক কাটা ও আলোচনা অনুষ্ঠানে সাবেক এমপি কায়সার হাসনাত মাসুমের জন্য ভোট প্রার্থনা করেছেন। অপরদিকে বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকা আবু নাঈমকে জেতাতে ভোটারদের বিভিন্ন প্রকার আশ্বাস দিচ্ছেন।
রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টরা জানান, জেলা পরিষদ নির্বাচনে মোস্তাফিজুর রহমান যেহেতু উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক হাসনাত কায়সার হাসনাত পন্থী সেহেতু তিনি আওয়ামীলীগের প্রার্থী। অপরদিকে আবু নাঈম ইকবাল জেলা জাতীয়পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার ঘনিষ্ট লোক সেহেতু তিনি জাতীয়পার্টির প্রার্থী। ফলে জেলা পরিষদ নির্বাচন ব্যক্তি পর্যায়ে নয় লড়াই হবে আওয়ামীলীগ ও জাতীয়পার্টির মধ্যে।