নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকম:
আইনশৃংখলাবাহিনীর অভিযান, অবরুদ্ধ করে রাখা, নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার, গুলি ও চাপে পড়ে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনের প্রার্থী কায়সার হাসনাত। আওয়ামীলীগের সাবেক এই এমপি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সিংহ মার্কা প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলেন। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার রাতে মহাজোট প্রার্থীকে মাঠ ছেড়ে দেন তিনি। তবে তিনি কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়েছেন। তা হলো-গ্রেপ্তারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি, দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার এবং নতুন করে কোন নেতাকর্মীকে হয়রানী ও গ্রেপ্তার করা যাবে না। এই সকল শর্ত পুরণ হলেই তিনি তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিবেন বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।
জানা যায়, শুক্রবার সকাল থেকেই এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয় কায়সার হাসনাত নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন। এই খবরে দুপুরের পর থেকে কায়সারের অনুগামী নেতাকর্মীরা কায়সারের মোগড়াপাড়াস্থ বাড়িতে জমায়েত হতে থাকেন। বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে কায়সার গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াচ্ছেন না। একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এক পর্যায়ে সন্ধ্যায় কায়সার তার ওই বাড়িতে অনুগামী নেতাকর্মী সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনের কৌশল বিষয়ে মত বিনিময় করছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭ টার দিকে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবির সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তার বাড়ি ঘেরাও করলে নেতাকর্মীরা বাধাঁ দেয়ার চেষ্টা করে। এসময় পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড শর্টগানের রাউন্ড গুলি ছুড়ে তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। এবং ঘটনাস্থল থেকে ৫-৬ জনকে আটক করে পুলিশ। এসময় গুলির শব্দে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে আইনশৃংখলাবাহিনী বাড়ির ভেতর কায়সার হাসনাতকে অবরুদ্ধ করে রাখে। কায়সার নির্বাচন থেকে সরে দাড়াইলেই আইনশৃংখলা বাহিনী তার বাড়ি ছাড়বে এমন ম্যাসেজ দেয়া হয় কায়সারকে। এক পর্যায়ে নিরুপায় হয়ে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দিয়ে কায়সার নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর ঘোষনা দেয়। পরে পুলিশ আটকৃকতদের ছেড়ে দেয়।
সোনারগাঁ থানার ওসি এম মোর্শেদ আলম গণমাধ্যমকর্মীদের জানান, স্বতন্ত্র প্রার্থী কায়সারের বাড়িতে নাশকতার উদ্দেশ্যে গোপন বৈঠক চলছে এমন অভিযোগে সেখানে সমন্বিত অভিযান চলে।