নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ
সোনারগাঁ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক রুবেলের বিরুদ্ধে এক ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা ও তার ছেলেকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দুপুরে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মল্লিকের পাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ওই বৃদ্ধা ও তার ছেলেকে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বৃদ্ধা লজ্জাতুন নেছা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ থেকে জানা যায়, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের মল্লিকের পাড়া গ্রামের জিয়া রহমানের বাড়িতে বৃদ্ধা ও তার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছে। রোববার রাতে প্রভাষক রুবেল মিয়া লজ্জাতুন নেছার ছেলে লিটনকে মাদক এনে দেয়ার কথা বললে লিটন অপারগতা স্বীকার করে। এক পর্যায়ে রুবেল তাকে মারধরের চেষ্টা করে। এ নিয়ে সোমবার দুপুরে রুবেলের শাশুড়ি আসমা বেগম ও তার স্ত্রী পপির সাথে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রুবেল আম গাছের ডাল দিয়ে লিটনকে আবারো মারধরের চেষ্টা করে। এসময় লজ্জাতুন নেছা ও তার মেয়ে আয়েশা বাঁধা দিলে তাদেরকেও পিটিয়ে আহত করে। এ ঘটনায় আহত লজ্জাতুন নেছা বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
এ বিষয়ে লজ্জাতুন নেছা বলেন, আমার বয়স ষাটের উপরে আমি মিথ্যা বলছি না। আমার ছেলে কলেজ শিক্ষক রুবেলকে মাদক এনে না দেয়ায় আমাকে পিটিয়েছে।
এ বিষয়ে প্রভাষক রুবেল জানান, কলেজ থেকে ফেরার পথে লিটন আমাকে লোকজন নিয়ে পিটিয়ে আহত করেছে। আমি সোনারগাঁ থানার ওসিকে বিষয়টি ফোনের মাধ্যমে জানিয়েছি। প্রয়োজনে থানায় অভিযোগ দায়ের করবো। তাছাড়া তাদের বাড়িতে বিভিন্ন লোকজনের যাতায়াত রয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ওসি মোরশেদ আলম পিপিএম জানান, ঘটনাটি ফোনে প্রভাষক আমাকে জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে মিমাংসার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে লজ্জাতুন নেছা বাদী হয়ে প্রভাষকসহ ৩জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।