নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: রাত পোহালে ঈদুল ফেতর। ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বড় লোকের খবার তালিকায় অন্য খাবারের সাথে গরুর মাংস অন্যতম হলেও গরীবের থালে জুটছেনা গরুর মাংস। সমাজের বিত্তবানদের দেয়া চাল সেলাই মিললেও মিলে না গরুর মাংস তাই পরিবারের সকলের মুৃখের দিকে তাকিয়ে মাংসের দোকানে ঘুরে ছাডি মাংস (মাংস থেকে ছেটে ফেলে দেয়া অবশিষ্ঠ অংশ) তাদের ভরসা। বাজারে প্রতি কেজি ছাডি মাংস মিলছে ৩০০ হতে ৩৫০টাকায়। গরীর লোকজন বিভিন্ন দোকানে ঘুরে ঘুরে দরদাম করে কিনছেন সেই মাংস।
মোগরাপাড়া চৌরাস্তাসহ উপজেলার বিভিন্ন মাংসের দোকানের পাশে গড়ে উঠেছে ছাডি মাংসের দোকান সাথে রয়েছে ভুড়িসহ অন্যান্য মাংস থেকে ফালানো মাংস। সেখানে সমাজের গরীর মানুষগুলো ভীড় করছে ছাডি মাংস কেনার জন্য। গরুর মাংস আকাশ ছোয়া দামে ছাডি মাংসই যেন তাদের ভরসা। সেখান থেকে কেউ আধা কেজি এক কেজি যে যার যার সামর্থ্য মোতাবেক পরিবারের জন্য কিনছে সেই মাংস।
ছাডি মাংস কিনতে আসা লোকজন জানায়, জিনিসপত্রের যেই দাম তেল চাল ডাল কিনতেই আমাদের অবস্থা কাহিল। সেখানে এতো দামের মাংস কিনা আমাদের মতো মানুষের স্বপ্ন। তবুও পরিবারের দিকে তাকিয়ে অনেক কষ্ট করে সামস্য মাংম নামের ছাডি মাংস কিনতে আসছি। গরুর মাংসের দোকানে মানুষের যেই ভীড় তা দেখে মনে অনেক কষ্ট লাগে। মানুষ কতো কতো মাংস কিনছে অথচ আমি একটু ছাডি কিনতে পরছিনা। মনে অনেক কষ্ট অনেক জ্বালা আমাদের মতো গরীবের তারপর বেঁচে আছি আলহামদুল্লাহ।
ছাডি বিক্রেতা আল -আমিন জানান, আগে সব মাংস গোস্তের দোকানদাররা ফেলে দিতো এখন আর ফেলে না এখন তারা ২৫০ টাকা কেজি ধরে আমাদের কাছে বিক্রি করে আমরা সেগুলো বাছাই করে খাওয়া উপযোগী মাংস টুকু রেখে গরীব মানুষের কাছে বিক্রি করি। এতে অনেক গরীব মানুষ এগুলো কিনে। অনেকেরে দেখে কষ্ট হয় আবার অনেকে এগুলো কিনতে পেরে যেন খুশি।