নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টফোর ডটকম: দিন যত গড়াচ্ছে সোনারগাঁয়ে করোনা আতঙ্ক দিন দিন বাড়ছে। গত এ মাসে সোনারগাঁয়ে ৮৩জন করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে। প্রতিদিনই বাড়ছে জ্যামিতিক হারে এ সংখ্যা। আর এ সংখ্যায় বর্তমানে সবচেয়ে বেশী যোগ হচ্ছে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ি মজলিশ ও বাড়ী চিনিষ গ্রামে। গত ১ সপ্তাহে বাড়ী মজলিশ এলাকায় ২২ জনেরও বেশী করোন রোগী সনাক্ত হয়েছে। যা থেকে বাদ পরেনি শিশুরাও। হঠাৎ করে দুটি গ্রামে করোনা রোগী রেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক বিরাজ করছে দুই গ্রামের প্রতিটি ঘরে।
জানাগেছে, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের বাড়ী মজলিশ ও বাড়ী চিনিষ দুটি গ্রামই ঘনবসতিপুর্ণ। এলাকাটি মোগরাপাড়া চৌরাস্তার পাশে হওয়ায় স্থানীয় লোকদের পাশাপাশি অনেক বহিরাগতরাও বাসা ভাড়া নিয়ে বসবাস করেন। এতো লোকের ফলে দুটি গ্রামেই শারীরিক দুরত্ব বজায় রাখা সম্ভব না। এছাড়া অতিরিক্ত বহিবারগত থাকায় নিয়ম অনুযায়ী লকডাউন মানেনি কেউ। এছাড়া স্থানীয় সমাজ ব্যবস্থা দুর্বল থাকায় স্থাণীয়দের কথাও শুনতেন না ভাড়াটিয়ারা। ফলে তারা বিভিন্ন স্থান থেকে কাজকর্ম শেষ করে দোকান ও পাড়া মহল্লায় যে যার মতো আড্ডা দিতেন। এতে শারীরিক দুরত্ব বজায় না থাকায় একজন করোরা আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে বাড়তে বাড়তে গত এক সপ্তাহে সেখানে এক জনপ্রতিনিধি ও তার সহধর্মিনীসহ করোনা রোগী সংখ্যা বেড়ে ২২ জনের মতো হয়েছে। এছাড়া আরো বহু মানুষ করোনার উপসর্গ নিয়ে অসুস্থ রয়েছেন। এতে অনেকের নমুনা সংগ্রহ করা হলেও লোকবলের অভাবে অনেক পরিবারের নমুনা সংগ্রহ করাও সম্ভব হচ্ছেনা। তারা ডাক্তারের পরামর্শ মতো বাড়িতে থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বাড়ী মজলিশ গ্রামের বাসিন্দা বুলবুল আহম্মেদ জানান, করোনা প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার পর থেকে আমি এলাকার লোকদের বাড়িতে অবস্থান করার জন্য অনেক অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা করোনাকে কোন পাত্তা না দিয়ে স্থানীয় দোকানে বসে দিনরাত আড্ডা দিতো। এমনকি বিদেশ ফেরত লোকগুলোও তাদের সাথে এসে যোগ দিতো। এখন বর্তমানে বাড়ী চিনিষ ও বাড়ী মজলিশ গ্রামের অবস্থা খুবই খারাপ। প্রতিটি ঘরেই জ্বর ঠান্ডা ও কার্শিতে আক্রান্ত করোনার উপসর্গের রোগী রয়েছে। কয়েকটি পরিবারের সবাই অসুস্থ হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে অনেকের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে গেছে এখনও বহুলোক পরিক্ষার বাকি আছে। যাদের মধ্যে ২ বছরের শিশুও রয়েছে। অনেকে আবার করোনা আক্রান্ত হয়েছে কোয়ারেন্টারে থাকছেন না। কারণে অকারণে ঘর থেকে বাহিরে গিয়ে বাজার সদাই করছেন। এতে আরো বহু লোক আক্রান্ত হবার আশঙ্কা রযেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা পলাশ কুমার সাহা জানান, বাড়ি মজলিশ ও বাড়ি চিনিষ এলাকার অনেকের নমুনা পরিক্ষা করে করোনা পজেটিভ পেয়েছি। আরো অনেকের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। লোকবলের অভাবে সবার নমুনা একসাথে সংগ্রহ করা সম্ভব হচ্ছে না। সিরিয়ার অনুয়ারী সবাইকে পরিক্ষা করা হবে। যারা অসুস্থ রয়েছে তাদের বাড়িতে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আমাদের এখান থেকে প্রতিদিনই ডাক্তার গিয়ে তাদের পরামর্শ ও খোঁজখবর নিচ্ছেন।