নিউজ সোনারগাঁ২৪ডটকমঃ ২১তম জাতীয় কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা বিনামূল্যে দেশের সকল প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৪ কোটি ৬ লাখ শিশুর জন্য বিনামূল্যে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। এ কার্যক্রম চলবে আগামী ৭ অক্টোবর পর্যন্ত।
কৃমি সপ্তাহ উপলক্ষে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের পক্ষ থেকে ভট্টপুর মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর শিক্ষার্থীদের মাঝে কৃমি নাশক ঔষধ বিতরন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে একটি আলোচনা সভাও করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অঞ্জন কুমার সরকার, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জনাব হালিমা সুলতানা হক। আরো রয়েছেন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার জনাব নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস, ইউ আর সি ইন্সট্রাকটর নাসরিন জাহান পপি, সাকিবা সুলতানা সমাজ সেবা অফিসার,শাহানারা আঁচল ডেভোলপমেন্ট অফিসার, ভট্টপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি জনাব আবু নাইম ইকবাল।
বক্তারা বলেন, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে সারাদেশে ১ লাখ ২০ হাজার প্রাথমিক ও ৩০ হাজার মাধ্যমিক বিদ্যালয় এই কর্মসূচীর আওতাভূক্ত। দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী সকল শিশুকে এবং সকল মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী সকল শিশুকে কৃমি নাশক ওষুধ খাওয়ানো হবে। এবারে প্রায় ৪ কোটি ৬ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানোর টার্গেট করা হয়েছে। পাশাপাশি দেশব্যাপি ক্ষুদে ডাক্তার টিমের মাধ্যমে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ পালন ও শুধুমাত্র শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন করা হবে। কৃমি রোধের জন্য সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্টা করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, কৃমি সাধারণত মানুষের অন্ত্রে বাস করে শরীর থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে বেঁচে থাকে এবং বংশ বৃদ্ধি করে কৃমির ডিম্বাণু মানুষের মুখের সাহায্যে প্রবেশ করতে পারে আবার ত্বকের সাহায্যেও লার্ভা হিসেবেও প্রবেশ করতে পারে। অনেক সময় কৃমি মানুষের যকৃত, হৃদপিন্ড, ফুসফুস বা অন্য কোন অঙ্গতেও আক্রমণ করতে পারে। এমনকি মৃত্যুও ঘটতে পারে।
বক্তারা জানান, যাদের পেটে কৃমি বেশি, ওষুধ খেলে তাদের বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া পেট ও মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো বড় ধরনের কোনো সমস্যা নয়। এসব উপসর্গ দীর্ঘ সময় থাকে না।