সােনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পিপিএল কিউসি নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছয় কোটি ১১ লাখ ৯ হাজার ৫৭০ টাকা ব্যয়ে হরহরদী সেতু নির্মাণ করে। সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে শুরু হলেও শেষ হওয়ার কথা রয়েছে, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারিতে। কিন্তু এখন পর্যন্ত সেতুর ৫০ শতাংশ কাজ শেষ হয়নি।
সুমন মিয়া নামে স্থানীয় এক স্কুলছাত্র জানান, সেতুটির নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় আমাদের| খেয়া পার হতে হয়। এতে নৌকাডুবির ঘটনা ঘটছে। তাই দ্রুত সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। হরিহরদী গ্রামের আবু হােসেন জানান, হরিহরদী সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলে পাচ ইউনিয়নের প্রায় ৪০ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারণে সেতুটির নির্মাণ কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না। পিপিএল কিউসি স্বত্বাধিকারী আব্দুল গাফফার জানান, সেতুটির নির্মাণ কাজ ৮০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। আশা করছি আগামী মার্চের মধ্যে সেতুর কাজ সম্পন্ন হবে।
সনমান্দী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ হাসান জিন্নাহ জানান, হরিহরদী সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে আমার ইউনিয়নের বাসিন্দাসহ আশপাশের ইউনিয়নের ৪০ গ্রামের মানুষ সুবিধা পাবে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান প্রয়ােজনের তুলনায় কম শ্রমিক দিয়ে কাজ করানাের কারণেই সেতুর কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ না হয়ে দীর্ঘসময় লাগছে।
সােনারগাঁ উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকৌশলী আলী হায়দার খান জানান, হরিহরদী সেতুর কাজ ২০১৮ সালে শুরু হয়। ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে সেতুর কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে আশা করছি ২০২০ সালের মার্চ মাসে সেতুর কাজ শেষ হবে ।