• দুপুর ১২:৪৫ মিনিট শুক্রবার
  • ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
  • ঋতু : গ্রীষ্মকাল
  • ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
এই মাত্র পাওয়া খবর :
সোনারগাঁয়ে সার্বজনীন পেনশন মেলা ও স্পট রেজিষ্ট্রেশন কার্যক্রম উদ্ধোধন বন্দর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী মাকসুদ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বউয়ের মামলা সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ, ৪ জন বাতিল সোনারগাঁয়ে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যুবককে অপহরন করে নির্যাতনের অভিযোগ সানাউল্লাহকে ডাকাত আখ্যা দিয়ে হত্যা চেষ্টা ও ১৫ মামলার আসামী গ্রেপ্তার বন্দরে ইউএনও অফিসের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যের আত্মহত্যা সোনারগাঁয়ে ২দিন ধরে মাদ্রাসা ছাত্র নিখোঁজ সোনারগাঁয়ে দুই ব্যাক্তি আটক, ৪৯ লাখ জাল টাকা উদ্ধার অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন আজিজুল ইসলাম মুকুল সোনারগাঁয়ে ৩ চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৪ জনের মনোনয়নপত্র দাখিল তাপদাহের প্রভাব পড়েছে সোনারগাঁয়ের বাজার ও মার্কেটগুলোতে মাহফুজুর রহমান কালামের নির্বাচনী প্রচারনায় নেতাকর্মীর ঢল সোনারগাঁ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভুল চিকিৎসায় নারীর মৃত্যুর অভিযোগ সোনারগাঁ থেকে বাড়ি ফেরার পথে লাশ হলেন পিতা-পুত্র তীব্র গরমের কারনে প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা খুলবে ২৮ এপ্রিল! অনলাইনে মনোনয়নপত্র জমা দিলেন মাহফুজুর রহমান কালাম সোনারগাঁয়ে প্রাথমিকে অনলাইন বদলী আবেদনে অনিয়মের অভিযোগ জামপুরে ৪টি ওয়ার্ডের নেতাকর্মী নিয়ে বাবুল ওমরের নির্বাচনী প্রচারনা সভা সোনারগাঁয়ে উপজেলা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মী বেচা-কেনার হিড়িক সোনারগাঁয়ে নেতাকর্মী বেচা-কেনার হিড়িক
আড়াইহাজার থানার এ এস আই মাসুম শেখ করতেন ডাকাতি, ব্যবহার করতেন সরকারী অস্ত্র-গাড়ী

আড়াইহাজার থানার এ এস আই মাসুম শেখ করতেন ডাকাতি, ব্যবহার করতেন সরকারী অস্ত্র-গাড়ী

Logo


নিউজ সোনারগাঁ টুয়ৈন্টিফোর ডটকম: গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) পদমর্যাদার নারায়ণগঞ্জের এক পুলিশ সদস্যের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্যরা ডাকাতিসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। ডাকাতির কাজে সরকারি পিস্তল, হ্যান্ডকাফ, গাড়িও ব্যবহার করতেন। ডিবি পরিচয়ে ডাকাতির মাধ্যমে সাড়ে ৯ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি ওই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। ওই এএসআই হলেন আড়াইহাজার থানার মাসুম শেখ (৩৩)। মাসুমের গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে। সে এখন কারাগারে।

যদিও ডাকাতির কথা অস্বীকার করে আড়াইহাজার থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) শওকত হোসেন বলেন, মাসুম শেখ সপ্তাহ খানিক আগে ছুটিতে রয়েছে। মামলার নথিপত্রের তথ্য বলছে, আবদুল আওয়াল নামের এক ব্যক্তি রামপুরার একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। গত ৮ সেপ্টেম্বর তিনি রামপুরার টিভি সেন্টারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন কথিত বাবু নামের এক ব্যক্তি মাদ্রাসা শিক্ষক আওয়ালের কাছে এসে বলেন, পেশায় তিনি রিকশাচালক। তিনি লেখাপড়া জানেন না। ১০০ রিয়াল ভাঙানোর জন্য তিনি সাহায্য চান। কথোপকথনের একপর্যায়ে আওয়াল ওই ব্যক্তির কাছে জানতে চান, রিয়াল কোথায় পেয়েছেন? জবাবে বাবু জানান, তাঁর পরিচিত একজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ওই রিয়াল রাস্তায় কুড়িয়ে পেয়েছেন। কথিত রিকশাচালক বাবুর কথায় বিশ্বাস করে রিয়াল ভাঙিয়ে দেন আওয়াল। পরে কথিত পরিচ্ছন্নতাকর্মী হায়দারকে আওয়ালের কাছে হাজির করেন বাবু। মোট ১ হাজার ৮৬০ রিয়াল ভাঙানোর জন্য মাদ্রাসাশিক্ষক আওয়ালকে অনুরোধ করেন কথিত পরিচ্ছন্নতাকর্মী হায়দার। রিয়ালগুলো ভাঙিয়ে দিলে অর্ধেক টাকা আওয়ালকে দেওয়ার প্রস্তাব দেন বাবু ও হায়দার। তাঁদের রিয়ালগুলো বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য আওয়ালকে রামপুরার লেহাজ হোটেলের সামনে আসতে বলেন বাবু ও হায়দার। প্রলোভনে পড়া মাদ্রাসাশিক্ষক আওয়াল রিয়ালগুলো নেওয়ার জন্য নিজের ব্যাংক হিসাব থেকে পাঁচ লাখ টাকা তুলে আসেন লোহাজ হোটেলের সামনে। আওয়াল পাঁচ লাখ টাকা বাবু ও হায়দারকে বুঝিয়ে দেন। তখন বাবু ও হায়দার আওয়ালের হাতে প্যাকেটভর্তি কথিত রিয়াল তুলে দেন। তখন সেখানে একটি প্রাইভেট কার এসে থামে। প্রাইভেট কার থেকে নেমে তিনজন ব্যক্তি আওয়ালের কাছে আসেন এবং নিজেদের ডিবি পুলিশের পরিচয় দেন। আওয়ালকে জোর করে প্রাইভেট কারে তুলে হ্যান্ডকাফ পরান কথিত ডিবি পুলিশের সদস্যরা। রিয়ালগুলো কার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছেন, কাগজপত্র কোথায় ইত্যাদি নানা কথা জানতে চায় ডিবি পরিচয় দেওয়া তিন ব্যক্তি। আওয়ালকে মামলা দিয়ে জেলে পাঠানোর কথা জানান তাঁরা। আওয়ালকে অবৈধ ব্যবসায়ী হিসেবে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরার হুমকি দেওয়া হয়। তবে ১০ লাখ টাকা দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়। তাঁর ব্যাংক হিসাবে যত টাকা আছে, তা দেবেন বলে জানান আওয়াল। আওয়ালের ব্যাংক হিসাব থেকে আরও সাড়ে তিন লাখ টাকা তুলে নেয় কথিত ডিবি পুলিশের দল। ঢাকা মহানগর ডিবির লালবাগ বিভাগের তদন্তে উঠে আসে, মাদ্রাসাশিক্ষক আওয়ালের কাছে প্রথমে যিনি রিকশাচালকের পরিচয় দিয়ে রিয়াল ভাঙানোর ফাঁদ পেতেছিলেন, আসলে তিনি সংঘবদ্ধ অপরাধী চক্রের সদস্য। তাঁর প্রকৃত নাম আনিছুর রহমান। আর হায়দার পরিচয় দেওয়া কথিত পরিচ্ছনতাকর্মী হলেন প্রতারক চক্রের আরেক সদস্য শওকত। ডিবি পুলিশের পরিচয় দিয়ে আওয়ালের কাছ থেকে যাঁরা টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলেন, তাঁরা ডিবি সদস্য নন। প্রকৃতপক্ষে পুলিশ সদস্য মাসুম শেখ আওয়ালের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেন। ডাকাতির ঘটনায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ডিবির লালবাগ বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) ফজলুর রহমান বলেন, এএসআই মাসুম শেখ দীর্ঘদিন ধরে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি, ছিনতাইসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিলেন। তাঁদের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ একটি অপরাধীচক্র ঢাকায় ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে অপরাধ করে আসছিল। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণপত্র হাতে পাওয়ার পর শহীদ ও মাসুমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহার করা পিস্তল, হ্যান্ডকাফ ও একটি প্রাইভেট কার। ডিবি পুলিশের পরিচয়ে এই অপরাধী চক্রের সদস্যরা এমনভাবে ডাকাতি করত যে ভুক্তভোগীদের বোঝার উপায় থাকত না, তাঁরা আসলে ভুয়া ডিবি। কারণ, পিস্তল, হ্যান্ডকাফ সবই পুলিশের। আড়াইহাজার থানা পুলিশ একটি সূত্র জানিয়েছে, উচিৎপুরা ইউপিতে বিট নং-১০ দায়িত্ব পালন করতেন এএসআই মাসুম শেখ। সে সম্প্রতি ডাকাতির মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন।


Logo

Website Design & Developed By MD Fahim Haque - Web Solution