নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জের বন্দরে চলছে প্রভাব শালীদের মাটি কাটার মহােউৎসব। মাটি কাটতে বাধা দিলে দিচ্ছে প্রাননাশের হুমকি, যেনো দেখার কেউ নাই।
গত সোমবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ধামগড় ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের্র কাজিপাড়া গ্রামের বিলে প্রায় ৯৫ শতাংশ জমির কেটে দীঘি বানিয়েছে মাটি কাটার প্রভাবশালী মহল।
এসময় সাংবাদিকদের দেখে একজন ভুক্তভোগী বলেন আমাদের এই বিলে তারা যতদিন থেকে ইটের ভাটা তৈরী করেছে ,তার পর থেকে বিলের মাটি জোরপূর্বক কাটা শুরু করেছে।
মাটিকাটার সময় বাধা দিলে বিভিন্ন ভাবে জমির মালিকদের প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসছে ইট ভাটার মালিকরা। কারো কারো মাটি কেটে পুকুর বানানোর পর জমির মালিকদের জমি বিক্রি করতে বাধ্য করছে তাড়া।
এসময় জানা যায় এই এলাকার মৃত্য মাহারউদ্দিনের ছেলে মো.আহসানউল্লাহ জমির মাটি জোর পূর্বক কাটার পর সে মামলা করার কথা বল্লে একই এলাকার লোকজন ধরে তাকে মামলা না করার জন্য বলা হয় ও তার জমি কৌশলে ক্রয় করে নেয়। গত কয়েকদিন পূর্বে এক রাতে ৪টি জমি ধসে পরে পুকুুরে।
একই গ্রামের মৃত্য আওয়ালের ছেলে মসজিদের খাদেম মো. সিরাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানায়, তার ২১ শতাংশ জমি মধ্যে ৮ শতাংশ জমির মাটি ইট ব্যবসায়ীর কুপে ধসে পড়ে, সে সময় মামা ভাগিনা ইটভাটার মালিক আলমগীরের লোকজন সাংবাদিকদের বলে হুজুরের মাথা নষ্ট, সে পাগল, তার কথা আপনারা মাথায় নিয়েন না।
এ ব্যাপারে মামা ভাগিনা ইটভাটার মালিক আলমগীরের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে সে সাংবাদিকদের বলেন আমি তার জমির মাটি পূনরায় ঠিক করে দিবো।
অন্য দিকে ৭০৭ ইটভাটার মালিক পলাশ গত রবিবার মামা ভাগিনা ইটভাটার মালিক আলমগীরের লোকজনের সাথে মাটি কাটা নিয়ে বিলের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ ব্যাপারে তার সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার ব্যবহূত মোবাইল ফোনটি বন্ধ করে দেন।
হাতাহতির ঘটনার সংবাদ পেয়ে সাংবাদিক ও কামতাল তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মো.সুজন হক ও তার সংগীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনা স্থানে গিয়ে ২টি বেকুর চাবি নিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়।
এ ব্যাপারে ধামগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. মাসুম আহম্মেদের সাথে সাংবাদিকরা যোগাযোগ করলে তিনি বলেন উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দরকার হলে জেলা প্রশাসকের সহযোগীতায় তাদেরকে আইনের আওয়াতায় এনে শাস্তি দাবি যানাচ্ছি। প্রয়োজন হলে আমি আপনাদের সাথে আছি এবং থাকবো ।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে বন্দর উপজেলা প্রশাসন (ইউএনও) শুক্লা সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন আমাদের কাছে কোন ভুক্তবোগী অভিযোগ করে নাই, আমি সাংবাদিকদের ফোন পেয়ে ২মে মাটি কাটার স্থানে পুলিশ পাঠিয়ে ছিল ও মাটি কাটা বন্ধ রেখেছি।
তারা পূনরায় আবার মাটি কাটা সুরুকরেছে বলে আমি জানন্তে পাই কিন্তু এ ব্যাপারে আমার কাছে কোন ভুক্তভোগী অভিযোগ না করার কারনে আমি হস্তক্ষেপ নিতে পারছি না। তার পরও আমি নিজে থেকে তাদের কাজ বর্তমানে বন্ধ করে দিয়েছি। কেউ যদি অভিযোগ করে আমার উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে যত সহযোগীতা দরকার আমি তাকে করবো এবং তার নাম গোপন রাখবো।