নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: মাদক দ্রব্য আইনে মামলা করে ফেঁসে যাচ্ছে নারায়ণগঞ্জের পুলিশ ৪ সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে কেন সাজা প্রদান করা হবে না জানতে চেয়েছে আদালত। একই সাথে আদালতের ইস্যুকৃত কোর্ট সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা না দেওয়া পর্যন্ত বেতন আটকে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৪র্থ আদালতের বিচারক মো. কাউছার আলম সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এ আদেশ প্রদান করেন। আদেশে বলা হয়, আগামী ২ জানুয়ারি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে।
পুলিশ সদস্যরা হলো- এসআই মো. নজরুল ইসলাম, এএসআই মো. মোফাজ্জল হোসেন, কনেস্টেবল হারিজ উদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও এসআই মো. ইয়ারদৌস হাসান।। সকলেই নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা পুলিশে ছিলেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ৫ আগস্ট রাত ১০টা ৫৫ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া শহিদ মিনার এলাকায় অভিযান পরিচালনা ২৫ বছর বয়সী মো. নূরু ও ৩৫ বছর বয়সী শাহজাহান নামের ২ ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০০ গ্রাম করে মোট ১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। পরে ১৯৯০ সালের মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৭ ধারা অনুযায়ী মামলা (মামলা নং – ৫ (৮) ২০১১) দায়ের করেন ডিবির এসআই নজরুল ইসলাম।
কলাপাতা রেষ্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন
আদালতের আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে স্টোনোগ্রাফার কাম কম্পিউটার অপারেটর (ব্যক্তিগত সহকারী) সাইফুল মীর বলেন, স্বাক্ষীদের প্রতি আদালত থেকে বারবার সমন দিয়েছেন। সমন ইস্যু করা হলেও স্বাক্ষীগণ উপস্থিত হয়ে সাক্ষ প্রদান করে নাই বা কোন রূপ পদক্ষেপ নেন নাই। যা আদালতের আদেশ অবমাননার সামিল বলে বিবেচনা করেছে। তাই আদালত আগামী ২ জানুয়ারি স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে কারণ দর্শাতে বলেছেন এবং স্বাক্ষ প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আদালতের ইস্যুকৃত কোর্ট সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা না দেওয়া পর্যন্ত সাক্ষীর বেতন আটকে রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।