নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় কথিত ছাত্রদল নেতা সাগর সিদ্দিকীকে আটক করেছে পুলিশ । মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকালের দিকে পল্টন থানা পুলিশ তাকে আটক করে। এর আগে সোমবার রাত আটটার দিকে পল্টন এলাকায় নিজ অফিস থেকে বের হলে তিনজন দুর্বৃত্ত মামুন মাহমুদকে ছুরিকাঘাত করে। তাদের একজন জুয়েল মিয়াকে স্থানীয়রা আটক করে গলপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ি সাগর সিদ্দিকীকে আটক করা হয়। সাগর সিদ্দিকী ফতুল্লার তুষার আহম্মেদ মিঠুর ছেলে। সে মামুন মাহমুদের ওপর হামলার জন্য জুয়েলসহ তিনজনকে অর্থের বিনিময়ে ভাড়া করে। জুয়েল ঢাকার বাসাবো এলাকায় বসবাস করে বলে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
সাগর সিদ্দিকীর আটক সম্পর্কে জানতে চাইলে পল্টন মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সেন্টু মিয়া বলেন, ‘আটকদের নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
‘একটি সূত্র জানায়, মামুন মাহমুদের ওপর হামলার নেপথ্যে নারায়ণগঞ্জ বিএনপির একজন বহিষ্কৃত নেতা এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের আরো দুজন নেতার নাম জানিয়েছে সাগর। পরিকল্পনাকারি তিনজনের একজন জেলা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত এবং অপর দুজনের একজন একজন রূপগঞ্জ ও আরেকজন ফতুল্লা অঞ্চলের বলে জানা গেছে। সূত্রটি জানিয়েছে, সাবেক এমপি গিয়াসউদ্দিন দীর্ঘদিন ধরেই মামুন মাহমুদের কর্মকাণ্ডের ওপর ক্ষুব্ধ। সম্প্রতি তার অনুসারি কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সম্মেলনে বাধা দিতে গেলে সংঘর্ষ হয়। মূলত এই ঘটনাকে উপজিব্য করে মামুন মাহমুদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করে ওই তিন নেতা। তারা জানতেন, এমন হামলা হলে দায় গিয়াসউদ্দিন ও ইকবালের ওপর পড়বে। তারা থেকে যাবেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের তৎপরতায় সে পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।
সূত্র আরো জানায়, ওই তিনজনের পরিকল্পনায় সাগর সিদ্দিকী তিনজন ছিচকে সন্ত্রাসীকে অর্থের বিনিময়ে ভাড়া করে। যাদের একজন জুয়েল ঘটনার পরপরই আটক হয়। তবে, আটক হওয়া জুয়েল সাগর সিদ্দিকী ছাড়া অন্য কাউকেই চিনেন বলে জানা গেছে। তার তথ্য, স্বীকারোক্তিতেই সাগর সিদ্দিকীকে আটক করে পুলিশ।