নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লিখক শহীদ সরকারকে দুর্নীতির অভিযোগে বরখাস্ত করা হয়েছে। একইসঙ্গে তার দলিল লেখার সনদ সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। তবে এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবিতে রবিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন শহীদ সরকার ও তার সহযোগীরা।
সংবাদ সম্মেলনে শহীদ সরকার দাবি করেন, তিনি দীর্ঘদিন ধরে সুনামের সঙ্গে দলিল লিখক পেশায় নিয়োজিত থেকে সরকারের রাজস্ব আদায়ে ভূমিকা রেখে আসছেন। তিনি বাংলাদেশ দলিল লিখক সমিতির নির্বাচিত সহ-সাধারণ সম্পাদক এবং সোনারগাঁ সাব-রেজিস্ট্রি অফিসের ভেন্ডার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
তার ভাষ্যমতে, দলিল লিখক ও ভেন্ডার সমিতির নির্বাচনে বারবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হওয়ায় প্রতিপক্ষ একটি কুচক্রী মহল পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে তার সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক বলে তিনি দাবি করেন।
অভিযোগ ও তদন্ত প্রতিবেদন
জানা গেছে, দলিল লিখক গাজী কামাল হোসেন ২০২৪ সালের ১ অক্টোবর আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে শহীদ সরকার এবং তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতি ও চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে শহীদ সরকারের বোন নকলনবিশ রূপালী ওরফে আছিয়া, লিপি আক্তার, রিনা আক্তার এবং ভাই মনির হোসেন সরকার ও পনির হোসেন সরকারের নাম উল্লেখ করা হয়।
২০২৪ সালের ২৪ ডিসেম্বর তদন্তে অভিযোগকারীর লিখিত বক্তব্য ও সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তদন্তে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় জেলা রেজিস্ট্রার খন্দকার জামিলুর রেজা স্বাক্ষরিত এক আদেশে শহীদ সরকারকে বরখাস্ত করা হয়।
এছাড়া, আগামী ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে দলিল লেখার মূল সনদ বাতিল পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা কেন নেওয়া হবে না, সে বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে উপযুক্ত জবাব না দিলে তার সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে শহীদ সরকার তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে সনদ স্থগিতাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।