নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের এ.এন.জেড টেক্সটাইল মিলসের মালামাল লুটপাট, ভাঙচুর এবং চাঁদা দাবির অভিযোগের ঘটনায় বিএনপি নেতা আশরাফ ভূঁইয়া ও ইউপি সদস্য মোতালেব মিয়ার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ আড়াল করতে আশরাফ ভূঁইয়া রাতের আঁধারে একটি সংবাদ সম্মেলন ও শুরুব্র বিকেলে একটি সাজানো মানববন্ধন করেন। এটা সংবাদ সম্মেলন নয় যে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো অবস্থা বলে আখ্যায়িত করেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তারা বলেন, সে যেহেতু নিজেকে নির্দোষ দাবি করছে তাহলে সে জনসম্মুখে এসে প্রমাণ করুক সে জড়িত নয়। নিজেকে নির্দোষ প্রমান করার জন্য দিন রেখে রাতকে কেন বেছে নিলেন।
এ ঘটনার শুরুতে এ.এন.জেড টেক্সটাইল মিলসের মালিক আনোয়ার হোসেন এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, তাদের নির্মাণাধীন ভবনে কয়েকদিন আগে দুর্বৃত্তরা শ্রমিকদের মারধর করে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে, ১৫ জানুয়ারি সকালে আশরাফ ভূঁইয়া ও মোতালেব মেম্বারের নেতৃত্বে প্রায় ৫০ জনের একটি দল হামলা চালায়।
হামলার বিবরণ:
হামলাকারীরা শ্রমিকদের আটকে রেখে মিলসের মালামাল লুট করে, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় দেড় কোটি টাকা। মালামালের মধ্যে ছিল ৩৪ টন রড, ৭০০ বস্তা সিমেন্ট এবং ৩০ টন আইবিম। হামলাকারীরা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এবং অস্ত্র প্রদর্শন করে এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।
বিএনপি নেতার প্রতিক্রিয়া:
এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে, আশরাফ ভূঁইয়া তার নিজ কার্যালয়ে রাতের আঁধারে এক সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে তিনি তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, মিলস কর্তৃপক্ষ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের প্ররোচনায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তিনি আরও দাবি করেন, আওয়ামী লীগ নেতারা বিগত সরকারের সময় এলাকায় জমি দখল করেছে এবং তার সুনাম নষ্ট করতে ষড়যন্ত্র করছে।
পুলিশি ভূমিকায় ক্ষোভ:
মিলসের মালিক আনোয়ার হোসেন জানান, হামলার ঘটনায় তালতলা ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করা হলেও পুলিশ এখনো কোনো অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেনি। বরং, তিনি অভিযোগ করেন, তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ হামলাকারীদের কাজে সহযোগিতা করছেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে অনিচ্ছুক। আনোয়ার হোসেন এ ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেন।
স্থানীয়দের প্রতিক্রিয়া:
এলাকাবাসী জানান, ৫মে শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে ভারত চলে যাওয়ার পর আশরাফ ভুইয়া সোনারগাঁ ও রূপগঞ্জের লোকজন নিয়ে একটি বাহিনী তৈরী করেছেন। সে বাহিনীর ৫ আগষ্টের পর থেকে জামপুরের বিভিন্ন লোকজনের বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট চালিয়েছে। তার এমন কর্মকান্ডে
এলাকায় এ ঘটনার পর ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা দ্রুত সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।