ভুক্তভোগী দিন ইসলাম জানান, বারদী ইউনিয়নের আলগীরচর মৌজায় তার মালিকানাধীন ২৬ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা করছেন আবুল কাসেম বাবু। স্থানীয় সন্ত্রাসীদের পাহারায় ওই জমির মাটি কেটে কিছু অংশ বিএনপি ক্লাবের জায়গায় ফেলা হচ্ছে এবং বাকি মাটি তার ব্যক্তিগত বাড়িতে নেওয়া হচ্ছে। বাধা দিতে গেলে তাকে ও তার ভাইকে মারধর করা হয় এবং মিথ্যা মামলার ভয় দেখানো হয়।দিন ইসলামের দাবি, ২০০৭ সালে এসএ-আরএস নামজারির মাধ্যমে বৈধভাবে তারা মিয়া, চাঁন মিয়ার কাছ থেকে তিনি জমিটি ক্রয় করেন এবং পরবর্তীতে রেজিস্ট্রি করেন। জমি কেনার সময় পাশের জমির মালিক আবুল কাসেম বাবুকে কিনতে বলেছিলেন, কিন্তু তখন তিনি আগ্রহ দেখাননি। পরবর্তীতে বাবু দাবি করেন, তিনি অন্য ওয়ারিশদের কাছ থেকে জমিটি কিনেছেন।
এ নিয়ে একাধিকবার স্থানীয় সালিশ বৈঠক হয়, যেখানে বাবুর জমি কেনার দাবির স্বপক্ষে কোনো বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। কিন্তু সালিশ মানতে না চেয়ে ২০১১ সালে তিনি নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালতে মামলা করেন। দীর্ঘ শুনানির পর ২০২৪ সালের ২৯ অক্টোবর যুগ্ম জেলা জজ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার মামলাটি খারিজ করে দেন।
দিন ইসলাম অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশত্যাগের পর বিএনপি নেতা আবুল কাসেম বাবু নিজেকে ক্ষমতাশালী মনে করে আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠেন। বিএনপি ক্লাব নির্মাণের অজুহাতে জমির দখল নিতে শুরু করেন এবং বাধা দিলে হুমকি দেন।
বিএনপি নেতা বাবুর পাল্টা দাবি
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বাবু বলেন, “২০০৭ সালে দিন ইসলাম জায়গাটি কেনার তিনদিন আগেই আমি মালিকদের মেয়েদের কাছ থেকে ক্রয় করে নামজারি করে ভোগদখল করে আসছি। দিন ইসলামের কাগজপত্র ঠিক না থাকায় সে এখনো নামজারি করতে পারেনি। এরপরও সে বিভিন্ন সময় আমাকে হয়রানি করে বিচার সালিশ করে আসছে। সেই বিচার সালিশ কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে দেখা গেছে, সে যাদের টাকা দিয়েছিল, তারা জমি বুঝিয়ে দিয়েছেন। তারপরও সে আমাকে হয়রানি করছে।”
তিনি আরও বলেন, “আমি চাইলে শেষ একটা সমাধান করতে পারি, কিন্তু করিনি। সেটা করলে সব ঠান্ডা হয়ে যাবে।”
মামলার খারিজের বিষয়ে তিনি বলেন, “আমার উকিল একটি কাগজ সময় মতো জমা না দেওয়ায় মামলাটি খারিজ হয়েছে। আমি সেই খারিজের বিরুদ্ধে আপিল করেছি।”
এই ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ভুক্তভোগী দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন।