শোলাকিয়ার মতো নারায়ণগঞ্জে আগামী ঈদুল আযহার নামাজের বৃহৎ জামাতের আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছেন সংসদ সদস্য শামীম ওসমান। তিনি আজ দুপুরে (১২আগষ্ট) নারায়ণগঞ্জ ক্লাব মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক, জেলার ৭ শতাধিক ইমাম ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে এক আলোচনা সভায় এ ঘোষণা দেন।
শামীম ওসমান বলেন, মানুষ বড় জামাতে অংশগ্রহন করতে চেষ্টা করে। কারন লাখো মানুষের মধ্যে যদি একটা হাতও আল্লাহ কবুল করেন তাহলে একজনের উছিলায় সবার দোয়া আল্লাহ রাব্বুল আলামীন হয়তো কবুল করে নিবেন। শোলাকিয়াতে লক্ষ লক্ষ মানুষের জামাত হয়। সে কারনে নারায়ণগঞ্জ থেকেও মানুষ ঈদের জামাতে অংশগ্রহন করতে যায়। তিনি বলেন, তাই সবাই সম্মতি দিলে আমিও নারায়ণগঞ্জে এমন একটি জামাতের আয়োজন করতে চাই যেখানে দেড় লক্ষাধিক মানুষ এক সাথে ঈদের জামাতে অংশগ্রহন করতে পারবে। এই নারায়ণগঞ্জের জামাতকে যেন সারা বাংলাদেশের মানুষ দেড় লাখিয়া জামাত হিসেবে বলতে পারে।
শামীম ওসমান জানান, কারো কোন আপত্তি না থাকলে শহরের পৌর ঈদগাহ ময়দান, ওসমামী স্টেডিয়াম এবং খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে এক সাথে একটি বৃহৎ ঈদ জামাতের আয়োজন করা যেতে পারে। এ ব্যাপারে তিনি জেলার উপস্থিত ৭ শতাধিক মসজিদের ঈমামদের মতামত নেন এবং জেলা প্রশাসক ও সিটি করপোরেশনের কাছে সহযোগিতা চান। ঈমামরা আলোচান করে সম্মতি দিলে জেলা প্রশাসক রাব্বি মিয়া ঈদ জামাতের আয়োজনের ব্যাপারে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদানের আশ^াস দেন।
শামীম ওসমান বলেন, এই ঈদ জামাতের আয়োজনে প্যান্ডেল বাবদ ৫০ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা খরচ হবে তা আমার পক্ষ থেকে আমি দিয়ে দেব। তবে ইচ্ছা করলে যে কেউ এত শরীক হতে পারেন। তিনি বলেন, আমরা এখানে সুন্দর করে একটা আয়োজন করতে চাই যেখানে ঢোকার পরে মানুষের মনে এমন একটা অনুভূতি হয়, আল্লাহর এবাদত করতে এসেছি। তিনি আগামী ঈদুল আযহার এই বৃহৎ জামাতে সকল রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সংগঠনের সবাইকে এক সাথে অংশগ্রহন করার অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, এই মিলনমেলায় এসে আমরা সবাই যদি সবার সাথে বুক মিলাই আল্লাহ সবার মধ্যে ভালোবাসা সৃষ্টি করে দেবেন। পাশাপাশি নারায়ণগঞ্জবাসীর উপরও রহমত বর্ষিত হবে।
সংসদ সদস্য শামীম ওসমান ব্যক্তিগত উদ্যোগে এ আলোচনা সভার আয়োজন করেন। সভায় জেলা প্রশাসক ও ইমামরা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার, সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।#