নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাধুরচর এলাকায় গত ৬ই আগস্ট ফারজানা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ফারজানার পরিবার দাবি করেছে, স্বামী কামাল হোসেনসহ শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাকে হত্যা করে ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।
প্রাথমিক ঘটনা:
ফারজানা আক্তার হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছে বলে জানিয়ে তার স্বামী কামাল হোসেন ফারজানার বাবার বাড়ির লোকজনকে না জানিয়ে তড়িঘড়ি করে দাফনের উদ্যোগ নেয়। এ ঘটনায় সন্দেহ হলে ফারজানার পরিবার সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
ময়নাতদন্ত ও মামলা:
অভিযোগের ভিত্তিতে তালতলা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের সাবেক অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গিয়ে ফারজানার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে পাঠান।
গত ১৭ই নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট সোনারগাঁ থানায় পাঠানো হয়। রিপোর্টে মৃত্যুর কারণ নিয়ে প্রশ্ন ওঠায় ফারজানার পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী কামাল হোসেনসহ চারজনের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং যৌতুক আইনে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
গ্রেপ্তার ও তদন্ত:
গত ২৭শে নভেম্বর বিকেল ৪:৩০ মিনিটে জামপুর ইউনিয়নের মহজমপুর বাজার থেকে পুলিশ মামলার প্রধান আসামি কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ২৮শে নভেম্বর তাকে নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা সাব-ইন্সপেক্টর আশীষ কুমার জানান, মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন সিরাজুল ইসলাম, শেখ ফরিদ এবং স্বর্ণমালা বেগম।