নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: অপরহণ পরবর্তী টানা ৬ দিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগের তিন দিন পর অবশেষে শিশু ও নারী নির্যাতন দমন আইনে মামলা নিয়েছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ। গত ২৬ জানুয়ারি রাতে নির্যাতিতা নারীর তিন দিন আগে করা অভিযোগের ভিত্তিতে এ মামলা নেওয়া হয়।
মামলায় নির্যাতিতা নারী উল্লেখ করেন, তার স্বামী প্রবাসে থাকার সুবাদে তিনি এক ছেলেসহ তার বাবার বাড়ি সোনারগাঁওয়ের ইলিয়াসদী থাকেন।
একই এলাকার শাহাবুদ্দিনের ছেলে মো. হাছান (৩০), তাকে মোবাইল ফোনে এবং সাক্ষাতে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের উত্ত্যক্ত করে আসছিল। তার কু-প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় গত ১৬ জানুয়ারি দুপুর অনুমান ১টার দিকে সোনারগাঁও থানাধীন ইলিয়াসদী বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে অভিযুক্ত হাসান তাকে ফুসলাইয়া ও প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক প্রাইভেটকার যোগে অজ্ঞাতনামা স্থানে নিয়ে যায়।
পরে অজ্ঞাতনামা স্থানে একটি ঘরে আটকে ধর্ষণ করে। এ সময় তার হাতে থাকা ভিভো অ্যান্ড্রোয়েড মোবাইল এবং গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের স্বর্ণের একটি চেইন এবং কানে থাকা ৮ আনা ওজনের এক জোড়া কানের দুল নিয়ে তাকে গাজীপুর ফেলে রেখে চলে যায় অভিযুক্ত হাসান। পরে তার বড় ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করে তাকে উদ্ধার করে ২৪ জানুয়ারি সোনারগাঁয়ে নিয়ে আসে।
এর আগে ওই নারী লিখিত অভিযোগ করলে থানা পুলিশ মামলা না নিয়ে অভিযুক্তকে আটক করে সন্দেহভাজন হিসেবে আদালতে পাঠায়। পরে ওই নারী ২৬ জানুয়ারি পুলিশের মহা-পরিদর্শক (আইজিপি)’র কমপ্লেইন মনিটরিং সেলে মামলা না নেওয়ার বিষয়ে ওসির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন।