নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম : সোনারগাঁও পৌরসভায় মাত্র দুইদিনের ব্যবধানে একাধিক ডাকাতি, চুরি এবং এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে স্থানীয়রা।
ডাকাতি ও চুরির ঘটনা
সোমবার (তারিখ উল্লেখ নেই) রাতে পৌরসভার নোয়াইল এলাকায় ব্যবসায়ী মামুনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় দুর্বৃত্তরা তার স্ত্রীকে কুপিয়ে আহত করে এবং নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। পরদিন একই বাড়িতে ফের ডাকাতির প্রস্তুতির সময় এলাকাবাসী দুই ডাকাতকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এছাড়া, রাইজদিয়া এলাকায় এক চোরকে ধরে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অন্যদিকে, সোনারগাঁও পৌরসভার সৌরসভা মার্কেটে রমজান নামের এক ব্যক্তির অটো পার্টসের দোকানে টিনের চাল কেটে লক্ষাধিক টাকার মালামাল চুরি হয়।
অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
বুধবার (তারিখ উল্লেখ নেই) সকালে পৌরসভার নোয়াইল এলাকার আলমগীরের পুকুরে এক অজ্ঞাতপরিচয় (৪৫) ব্যক্তির লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা ৯৯৯ নম্বরে কল দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলা মর্গে পাঠায়।
নিরাপত্তাহীনতায় পৌরবাসী
একাধিক ডাকাতি ও চুরির ঘটনায় পৌরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিশেষ করে যেসব পরিবারে পুরুষ সদস্যরা বিদেশে বা দূরে থাকেন, তাদের দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে।
গোয়ালদি এলাকার এক গৃহবধূ জানান, “আমার স্বামী বিদেশে থাকেন, মেয়েরা বিয়ে হয়ে গেছে। আমি একা থাকি। গত বছর আমি বাড়িতে না থাকার সুযোগে চোরেরা তালা ভেঙে আমার ঘরের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এখন আবার নতুন করে ডাকাতি-চুরির ঘটনা শুনে রাতে ঘুমাতে পারি না। এতে আমার শারীরিক অবস্থারও অবনতি হচ্ছে।”
নিরাপত্তার দাবিতে পৌরবাসীর অভিযোগ
স্থানীয়দের অভিযোগ, আগে প্রতিটি ইউনিয়নে পুলিশের টহল টিম সারারাত পাহারা দিত। কিন্তু ৫ তারিখের পর থেকে রাতে পুলিশের তৎপরতা কমে গেছে। ফলে চোর, ডাকাত ও ছিনতাইকারীরা আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
পৌরবাসী দ্রুত আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নতির জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
এ বিষয়ে সোনারগাঁও থানার নবনিযুক্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজুল রহমান বলেন, “আমি এখানে নতুন যোগদান করেছি। পুলিশের টহল ব্যবস্থা বা অন্যান্য কার্যক্রম সম্পর্কে এখনও পুরোপুরি জানি না। তবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি এবং সব বিষয়ে খোঁজখবর নিচ্ছি।”
তিনি আরও আশ্বস্ত করেন যে, চুরি ও ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে পৌরসভার নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে।