নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি সম্প্রসারণ করে ৫ সদস্য থেকে ৩৩ সদস্যে উন্নীত করা হয়েছে। গত সোমবার (২৫ মার্চ) বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। এর আগে, গত ২ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে আহ্বায়ক করে ৫ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছিল। বর্ধিত এই নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে সোনারগাঁ থেকে মান্নানসহ ৪ জন বিএনপি নেতা স্থান পেয়েছেন। তারা হলেন, সোনারগাঁ থানা বিএনপি সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান, সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মো. শাহজাহান মেম্বার ও থানা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক মো. সেলিম হক রুমি। সোনারগাঁয়ের চার নেতার স্থান পাওয়ায় উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিশেষ করে মান্নান পন্থীরা আনন্দ প্রকাশ করেছেন। তারা নবগঠিত কমিটিকে স্বাগত জানিয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অপরদিকে নবগঠিত কমিটিতে সোনারগাঁ থানা বিএনপির একাংশের সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমসহ তার কোনো কর্মী সমর্থক।
জানাগেছে, সোনারগাঁ থানা বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে দুই ভাগে বিভক্ত। এক পক্ষে আছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন, অন্যপক্ষে রয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রেজাউল করিমের অনুসারী নেতা থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি খন্দকার আবু জাফর, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সহ-সভাপতি ওয়াহিদ বিন ইমতিয়াজ বকুল ও শাহ আলম মুকুল। এছাড়া থানার কয়েকজন নেতা আবার রাজনীতি করেন সিদ্ধিরগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস্য গিয়াস উদ্দিনের। জেলা কমিটিতে একক ভাবে থানা বিএনপির একাংশকে বাদ দিয়ে অপর অংশের একাধিক সমর্থক অর্ন্তভুক্ত করায় জেলা নেতাদের পক্ষপাতিত্ব মুলক আচারন মনে করছেন সাধারণ কর্মীরা। তারা জানান, যাদের কমিটিতে নেতা হয়েছে তারা সকলেই যোগ্য তবে আরো অনেক যোগ্য নেতা রয়েছে থানাতে তাদের কয়েকজনকেও অর্ন্তভুক্ত করা দরকার ছিলো। তাতে রাজনীতি একটা ব্যালেন্স হতো।
এইবারের জেলা আহ্বায়ক কমিটিতে শুধুমাত্র আজহারুল ইসলাম মান্নানপন্থীরা স্থান পেলেও, রেজাউল করিমের অনুসারীদের কেউ অন্তর্ভুক্ত হননি। তবে, এতে সোনারগাঁ বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে রাজনৈতিক টানাপোড়েন আরও বাড়তে পারে বলে মনে করছেন স্থানীয় বিশ্লেষকরা।