নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পৌরসভার দৈলেরবাগসহ চার গ্রামে চাঁদাবাজি, লুটপাট, ধর্ষণচেষ্টা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে কুখ্যাত ডাকাত ও শীর্ষ সন্ত্রাসী পিয়াল ও তার দুই সহযোগীকে হাতেনাতে আটক করেছে সোনারগাঁও থানা পুলিশ।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের হাবিবপুর আজামবাড়ি চিড়ার মিল এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। আটককৃতরা হলেন—হাবিবপুর গ্রামের টিপু সুলতানের ছেলে পিয়াল (৩০), তার ছোট ভাই ইয়াসির আরাফাত (২০), এবং পৌরসভার দৈলেরবাগ এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে শাওন হোসেন (২৫)। গ্রেপ্তারকৃতদের মঙ্গলবার সকালে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, পিয়াল দীর্ঘদিন ধরে চারটি গ্রামে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে আসছিল। পরিবহন ডাকাতি, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাইসহ নানা অপরাধে জড়িত ছিল সে ও তার সহযোগীরা। এলাকাবাসী তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে সোনারগাঁ থানায় একাধিক অভিযোগ করেন।
সম্প্রতি চাঁদা না দেওয়ায় রয়েল রিসোর্টের নিরাপত্তা কর্মী কামরুলকে কুপিয়ে আহত করে এবং তার কাছ থেকে নগদ অর্থ ও মালামাল লুটে নেয়। এছাড়া দৈলেরবাগ এলাকার রুবেল নামে এক যুবককে কুপিয়ে হাতের কব্জি বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
সবচেয়ে ভয়াবহ ঘটনা ঘটে, যখন পিয়াল ও তার প্রধান সহযোগী ‘কাইল্লা ফরিদ’ এক নারীর গলায় ছুরি ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে ও তার কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ বাহিনীর হুমকি-ধামকিতে বহু পরিবার গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়।
সোনারগাঁ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মফিজুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি চৌকস টিম তাদের ডাকাতির সময় হাতেনাতে আটক করে। গ্রেফতারের সময় পিয়াল ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে আহত হয়। পরে তাকে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে থানায় নেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) রাশেদুল হাসান খান বলেন, “ঘটনাটি সত্য। এ বিষয়ে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”
অবশেষে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে দৈলেরবাগসহ আশপাশের চার গ্রামের বাসিন্দারা।