কতিপয় ব্যক্তির হাতে জিম্মি হয়ে পড়েছে সোনারগাঁ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী আনন্দবাজার হাট। বালু বালু থেকে শুরু করে নদী খেকো ও নদী ডাকাত হিসেবে পরিচিত লোকেরা বর্তমানে পরিচালনা করছে আনন্দবাজার হাটের ব্যবসায়ীদের। স্থানীয়দরের অভিযোগ নদী খেকো ও চাঁদাবাজ মাজারুলের নেতৃত্বে, কসাই মোতালেব, খুনি আমির হোসেন, মহসিন, বাবু চোরা ও কানকাটা শাহজাহানের ছেলে ফয়সালসহ ৭-৮ জন সন্ত্রাসী বাজারের ব্যবসায়ীদের নিকট খাজনার নামে জোরপূর্বক চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তিন দোকানদারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করা হয়।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রতিটি দোকান থেকে সাপ্তাহিক হাটে দুই হাজার টাকা করে চাঁদা দাবি করে এই সন্ত্রাসীরা। চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে কিংবা প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে রয়েছে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী হাসেম সাহেবের ছেলে ইমন বেপারী, কাদির বেপারীর ছেলে রাসেল এবং অনিক।
এই সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবের কারণে বাজারে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ক্রেতারা দ্রত বাজার ত্যাগ করে এবং প্রায় ৫০০ দোকান বন্ধ হয়ে যায়। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে কসাই মোতালেব বিএনপি নেতা জাকির খানের নাম ভাঙিয়ে বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করে আসছিল।
এ ঘটনার পর আনন্দ বাজার হাট কমিটির সেক্রেটারি হাজী আবদুর রহমান বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
আহত ইমন বলেন, “মাজহার, খুনি আমির, কসাই মোতালেব, সুদী মহসিন, বাবু ও ফয়সাল চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাস চালাচ্ছে। দ্রুত তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
বর্তমানে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে এবং যে কোনো সময় বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।