নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কোনাবাড়ী এলাকায় রাস্তার নির্মাণ কাজে বাধা দেওয়া এবং ইউপি সদস্য ও তার ছেলেকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিএনপি নেতা আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে নারী-পুরুষ একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেন এলাকাবাসী। তারা হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
ভুক্তভোগী ইউপি সদস্য তাজুল ইসলাম জানান, তিনি সাদিপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে স্থানীয় একটি কাঁচা রাস্তা ভরাটের কাজ করছিলেন। এ সময় নিজেকে বিএনপির সাদিপুর ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি পরিচয় দেওয়া আওলাদ হোসেন তার সহযোগী রোকনসহ ১০-১২ জনের একটি দল নিয়ে এসে কাজ বন্ধ করে দেয় এবং তাজুল ইসলামের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় তাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় বাধা দিতে গেলে তার ছেলেকেও মারধর ও প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
ইউপি সদস্য আরও বলেন, “আমি আগে আওয়ামী লীগের সময়ে একাধিক রাজনৈতিক মামলার শিকার হয়েছি। অথচ এখন বিএনপির নাম ব্যবহার করে আমাকে চাঁদা দিতে বাধ্য করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিষয়টি আমি দলীয় হাইকমান্ড এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নানকে জানাবো। আমি আশা করি দলীয়ভাবেই এসব চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
অভিযুক্ত আওলাদ হোসেন অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “জমিটি আমার মামা কিনেছেন। রাস্তার কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি, তবে কাউকে চাঁদা দাবি করিনি।”
এ বিষয়ে সোনারগাঁ তালতলা তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আব্দুল হক বলেন, “ইউপি সদস্য তাজুল ইসলামের কাছ থেকে চাঁদা দাবি ও মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। তদন্ত শেষে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”