গত সোমবার রাজধানীর উত্তরায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় ব্যাপক যানবাহন ভাংচুরের প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা। এসময় তারা ঢাকামূখী সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়। এতে শত শত যানবাহন আটকা পড়ে মহাসড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজট এক পর্যায়ে মহাসড়কের সাইনবোর্ড থেকে কাঁচপুর পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েরর বিভিন্ন গণপরিবহনের যাত্রীরা। পরে হাইওয়ে এবং ট্রাফিক পুলিশ সাইনবোর্ড সহ বিভিন্ন পয়েন্টে গিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করে যানচলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল আটটা থেকে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা মহাসড়কে অবরোধ সৃষ্টি করে বিক্ষোভ শুরু করে। তারা এসময় সোবারের ঘটনার জন্য সরকারের কাছে নিরাপত্তা প্রদান ও সুষ্ঠু বিচারসহ ক্ষতিপূরণ দাবী করেন। এসময় মহাসড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। বিভিন্ন গণপরিবহনের যাত্রীরা ভোগান্তিতে পড়েন। এসময় গণপরিবহনের যাত্রীদের কেউ কেউ এর প্রতিবাদ করলে পরিবহন শ্রমিকরা কয়েকজনকে বেধড়ক পেটায়। পরে হাইওয়ে ও ট্রাফিক পুলিশ সহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও এখন পর্যন্ত যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। যানজট অব্যাহত রয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুল ইসলাম জানানতবে জেলা পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, মহাসড়ক সচল রাখতে সব ধরণের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।#