আজকের বাংলা তারিখ

  • আজ মঙ্গলবার, ১৩ই মে, ২০২৫ ইং
  • ৩০শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ (গ্রীষ্মকাল)
  • ১৪ই জ্বিলকদ, ১৪৪৬ হিজরী
  • এখন সময়, সকাল ১০:৫৯
গরমে মুমিনের করণীয়

গরমে মুমিনের করণীয়

প্রকাশিতঃ

শেয়ার করুন
শেয়ার করুন
শেয়ার করুন
প্রকৃতির পরিবর্তন ও শীত-গ্রীষ্মের আবর্তন আল্লাহর হুকুমে হয়। আল্লাহ তায়ালা এই মহাবিশ্বকে একটি প্রাকৃতিক নিয়মে চালিত করেন। পৃথিবী সূর্যের চারদিকে নির্দিষ্ট কক্ষপথে ঘোরে। এই ঘোরার সময় পৃথিবী সূর্যের দিকে সামান্য হেলে থাকে। পৃথিবী আবার তার নিজ অক্ষেও ঘোরে, তাই বিভিন্ন সময় পৃথিবীর বিভিন্ন অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে পৃথিবীর দক্ষিণ গোলার্ধ কখনো সূর্যের কাছে চলে যায়, আবার কখনো উত্তর গোলার্ধ। যখন যে অংশ সূর্যের দিকে হেলে থাকে তখন সেই অংশ খাড়াভাবে বেশিক্ষণ ধরে সূর্যের আলো ও তাপ পায়। আর তখন সেই অংশে বেশি গরম পড়ে। এ সময় থাকে গ্রীষ্মকাল। একটা অংশ সূর্যের কাছে থাকা মানে তার উল্টো দিকের অংশটা থাকবে সূর্য থেকে দূরে। আর দূরে থাকলে সেই অংশটা কম আলো ও তাপ পাবে। তখন সেই অংশে থাকে শীতকাল। শীত ও গ্রীষ্মের ব্যাপারে হাদিসের ব্যাখ্যা হলো, শীত ও গ্রীষ্মের তীব্রতা আসে জাহান্নামের নিশ্বাস থেকে।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) বলেন, ‘জাহান্নাম তার রবের কাছে অভিযোগ করে বলে, হে রব, আমার এক অংশ অন্য অংশকে খেয়ে ফেলেছে। মহান আল্লাহ তখন তাকে দুটি নিশ্বাস ফেলার অনুমতি দেন। একটি নিশ্বাস শীতকালে, আরেকটি গ্রীষ্মকালে। কাজেই তোমরা গরমের তীব্রতা এবং শীতের তীব্রতা পেয়ে থাকো।’ (বুখারি : ৩২৬০)
তীব্র তাপদাহে মানুষ ও পশু-পাখি হাহাকার করছে। এমন প্রচণ্ড গরমে এক পশলা বৃষ্টির জন্য মুমিনরা আল্লাহর রহমতের প্রত্যাশী। শস্য ফলানোসহ পশু-পাখির খাবারের জন্য যেমন বৃষ্টি দরকার, তেমনি তীব্র তাপপ্রবাহে সৃষ্ট নানা জটিলতা ও কষ্ট থেকে মুক্তি পেতেও আল্লাহর রহমতের বৃষ্টি খুবই প্রয়োজন। এমন পরিস্থিতিতে তাঁরই দরবারে বৃষ্টি কামনা করে নামাজ পড়া ও দোয়া করা সুন্নত। ইসলামি পরিভাষায় এই দোয়ার নাম ‘ইসতিসকা’ বা সিক্তকরণের দোয়া এবং নামাজের নাম ‘সালাতুল ইসতিসকা’ বা ‘বৃষ্টি কামনায় নামাজ’। বস্তুত যেকোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে বা নানা প্রতিকূলতায় পাপমোচনের জন্য আল্লাহর কাছে একনিষ্ঠ অন্তরে তওবা-ইস্তেগফার করতে হয়। কেউ অন্যের হক বা অধিকার নষ্ট করলে, তা ফেরত দিয়ে দোয়া করতে হয়। তবেই আল্লাহ তায়ালা মানুষের মনোকামনা পূরণ করেন এবং বৃষ্টি দিয়ে নিসর্গ সিক্ত করেন। এ নামাজ মাঠে গিয়ে আদায় করার আগে একাধারে তিন দিন রোজা রাখতে হয়। তারপর এলাকার ইমাম ও মুসল্লিরা চতুর্থ, পঞ্চম ও ষষ্ঠ দিনে মাঠে গিয়ে নামাজ আদায় করবেন। মাঠে যাওয়ার আগে এবং পরে সবাই তওবা করবেন। তওবা করলে বৃষ্টি বর্ষণের প্রবল সম্ভাবনা থাকে।
শেয়ার করুন
শেয়ার করুন
শেয়ার করুন

এ সম্পর্কিত আরো খবর

সোনারগাঁয়ে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার ছত্রছায়ায় খাস জমির মাটি বিক্রির অভিযোগ

নিউজ সোনারগাঁ টুয়েন্টিফোর ডটকম: নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের লাদুরচর এলাকায় সরকারি খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমির মাটি...

Read more

বন্দরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুট, ১০ জন আহত

  বন্দরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় বন্দর থানার ২৬ নং ওয়ার্ড...

Read more
বার্তা প্রধানঃ

ফারুক হোসাইন

কর্তৃক প্রকাশিতঃ

ফরিদ হোসেন

নিবদ্ধনঃ

নিউজসোনারগাঁ২৪ডটকম
সংবাদ মাধ্যমটি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিধি মোতাবেক নিবদ্ধনের জন্য আবেদিত।

বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ

ঈশা খাঁ মোবাইল মার্কেট মোগরাপাড়া, চৌরাস্তা
সোনারগাঁ, নারায়ণগঞ্জ
ফোনঃ ০১৯১৬৮৬৫৬৬৬, ০১৭১৮২০০৬০৬
ইমেইলঃ mkforid@gmail.com

Website Design & Developed By
MD Fahim Haque
<Power Coder/>
www.mdfahim.com
Web Solution – Since 2009