নারায়ণগঞ্জ জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেছেন, দেশের মানুষের কোন স্বাধীনতা নেই। বর্তমানে বাংলাদেশ একটি জাহান্নামে পরিণত হয়েছে। জনগণের সকল অধিকার হরণ করেছে বর্তমান সরকার। দেশের কোন সরকারী প্রতিষ্ঠানই জবাবদিহীতামূলক আচরণ করে না। বর্তমান নির্বাচন কমিশন ধীরে ধীরে দলীয় কমিশনে পরিণত হচ্ছে।
রোববার (২২ জুলাই) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে নারায়ণগঞ্জ জেলা গণসংহতি আন্দোলনের মানববন্ধনে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আবেদন পুন:নিরীক্ষণ ও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নির্বাচনী ব্যবস্থার আমূল সংস্কারের দাবীতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
তরিকুল সুজন আরো বলেন, গণসংহতি আন্দোলন পতিষ্ঠার পর থেকেই প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পাওয়ার জন্য যোগ্য দাবী রাখে গণসংহতি আন্দোলন। নির্বাচন কমিশনের প্রতিটি শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও গণসংহতি আন্দোলনকে নিবন্ধন দেয়া হয়নি। আমাদেরকে কেন নিবন্ধন দেয়া হবে না তার কোন সুস্পষ্ট কারণও বলা হয়নি। তাই আমাদের দাবী রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধনের আবেদন পুন: নিরীক্ষণ করতে হবে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন জেলা গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস, মহানগর গণসংহতির আহবায়ক রফিকুল বাপ্পি, সম্পাদক পপি রাণী সরকার, বন্দর থানা যুগ্ম আহবায়ক এমদাদ হোসেন, জেলা গণসংহতির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জাহিদুল আলম আল জাহিদ, জেলা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস জামান সহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
গণসংহতি আন্দোলনের নির্বাহী সমন্বয়ক অঞ্জন দাস বলেন, নির্বাচন কমিশনে ৭৪টি নিবন্ধনের জন্য আবেদন করলেও মহাজোটের সাথে সম্পৃক্ত দুটি দলকে নিবন্ধন দেয়া হয়েছে। তাই বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি দলীয় কমিশনে পরিণত হয়েছে। অথচ এই কমিশন চলে জনগণের টাকায়। তারা যদি জনগণের প্রতিষ্ঠান হতো তাহলে বাকী দলগুলোকেও নিবন্ধন দেয়া হতো। কিন্তু তারা জনগণের স্বার্থে কথা না বলে দলের স্বার্থে কথা বলছে।#